ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। — ফাইল চিত্র।
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে লিয়োনেল মেসি এবং কিলিয়ান এমবাপের দ্বৈরথ দেখেছে বিশ্ব। দুই তারকা প্যারিস সঁ জরমঁর হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলেছেন। এ বার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সঙ্গে এমবাপের মুখোমুখি সাক্ষাতের পরিস্থিতি তৈরি হলেও দুই ফুটবলারের দেখা হল না। একা রোনাল্ডো খেললেন। তাঁকে মোটেই আগের মতো ফর্মে দেখা যায়নি।
জাপানে প্রাক-মরসুম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে গিয়েছে পিএসজি। রোনাল্ডোর ক্লাব আল নাসেরও রয়েছে সেখানে। দুই দলের প্রদর্শনী ম্যাচ ছিল মঙ্গলবার। তা গোলশূন্য ড্র হয়েছে। আল নাসেরের হয়ে রোনাল্ডো খেললেও পিএসজি-র হয়ে নামেননি এমবাপে। চুক্তি নিয়ে সমস্যার জেরে তাঁকে জাপানে নিয়েই যায়নি ফরাসি ক্লাবটি। ফলে দুই ফুটবলারের সাক্ষাৎ হয়নি। পিএসজি-তে খেলেন নেমারও। কিন্তু চোট সারিয়ে সবেমাত্র অনুশীলনে ফেরায় তাঁকেও নামানো হয়নি।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই কার্লোস সোলারের ফ্রিকিক থেকে পিএসজি এগিয়ে যেতে পারত। কিন্তু আল নাসেরের গোলকিপারের দক্ষতায় গোল হয়নি। এর পরে নোহা লেমিনার শট পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধে দু’টি গোল করার সুযোগ এসেছিল রোনাল্ডোর কাছে। প্রথম বার ছ’গজ দূর থেকে পর্তুগিজ খেলোয়াড়ের শট বাঁচিয়ে দেন পিএসজি গোলকিপার জিয়ানলুইগি ডোনারুমা। তার পরে একটি বাইসাইকেল কিক মেরেছিলেন, যা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে গোলে ঢুকলেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যেত।
দ্বিতীয়ার্ধে ৬৬ মিনিটে তুলে নেওয়া হয় রোনাল্ডোকে। দর্শকদের মধ্যেও উচ্ছ্বাস কমে যায়। পরে দুই দলের খেলোয়াড়রা চেষ্টা করলেও গোল হয়নি। ম্যাচের পর রোনাল্ডো সমাজমাধ্যমে লেখেন, “শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ভাল পারফরম্যান্স। প্রাক-মরসুম প্রস্তুতি চলছে এ ভাবেই। জাপানের দর্শকদের সামনে খেলতে পেরে ভাল লাগছে।”