সুনীল ছেত্রী। — ফাইল চিত্র।
চলতি বছরে তিনটি আন্তর্জাতিক খেতাব জিতেছে ভারতীয় ফুটবল দল। তিনটিই দেশের মাঠে। র্যাঙ্কিংয়ে উপরের দিকে থাকা দলগুলির বিরুদ্ধেও এখন জোর টক্কর দেয় ভারত। তা সত্ত্বেও এশিয়ান গেমসে ফুটবল দলকে পাঠানো নিয়ে টালবাহানা করছে কেন্দ্রের ক্রীড়া মন্ত্রক। কারণ ভারত এশিয়ার প্রথম আট দলের মধ্যে নেই। কোচ ইগর স্তিমাচ আগেই মুখ খুলেছিলেন। এ বার এশিয়ান গেমসে খেলতে দেওয়ার পক্ষে মুখ খুললেন সুনীল ছেত্রীও।
এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “এশিয়ান গেমসে আমাদের খেলাটা খুবই দরকার। যত বেশি প্রতিযোগিতায় খেলতে পারব, তত আমাদেরই লাভ।” এশিয়ান কাপে কঠিন দলগুলির বিরুদ্ধে খেলতে হবে ভারতকে। তার আগে এশিয়ান গেমস প্রস্তুতির আদর্শ মঞ্চ হতে পারে। সুনীলকে নেতা বানিয়ে ইতিমধ্যেই দল ঘোষণা করেছে ফেডারেশন। অপেক্ষা কেন্দ্রের ছাড়পত্রের।
কিছু দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের উদ্দেশে স্তিমাচ লিখেছিলেন, “ভারতীয় ফুটবল দলকে এশিয়ান গেমসে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আপনাদের কেউ অবগত করেছেন কি না আমি জানি না। ভারত ২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল। এর ফলে তরুণ ফুটবলার তুলে আনার ক্ষেত্রে অনেক ব্যয় করা হয়েছিল। ভারতের ফুটবল বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন আপনারাও দেখেন। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এত দিন আমরা যে ভাবে আপনাদের সমর্থন পেয়ে এসেছি, আশা করছি সেটা এখনও পাব।”
সাক্ষাৎকারে আরও অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন সুনীল। এত দিন ধরে ফুটবল খেলার প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “লড়াই আমার জিনে রয়েছে, যার জন্যে বাবা-মায়ের ধন্যবাদ প্রাপ্য। আমার চারপাশে এত অসাধারণ মানুষের সমর্থন থাকার জন্যে কৃতজ্ঞ। দীর্ঘ দিন ধরে খেলার কারণে অনেক ক্রীড়াবিদই সফল হয়েছে। লিয়েন্ডার পেজ, মেরি কম এবং বিরাট কোহলি এত দিন ধরে খেলছে বা খেলেছে কারণ ওরা হাল ছাড়েনি।”
দেশের হয়ে ১৪২টি ম্যাচ খেলে ফেললেও প্রথম ম্যাচের কথা ভুলতে পারেননি তিনি। সুনীল বলেছেন, “পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচের কথা ভুলতে পারব না। পারলে নিজের কবরেও সেই স্মৃতি সঙ্গে নিয়ে যাব। কখনও ভারতের হয়ে খেলার কথা ভাবিনি। সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্যে একটা শংসাপত্র দরকার ছিল। সেখান থেকে ভারতের হয়ে অভিষেক অসাধারণ ব্যাপার।”