—প্রতীকী চিত্র।
ম্যাচ শুরুর তিন সেকেন্ডের মধ্যে লাল কার্ড দেখলেন ব্রাজিলের এক ফুটবলার। বিপক্ষ দলের ফুটবলারকে কনুই মারেন তিনি। রাফা সিলভা নামের সেই ফুটবলারকে সঙ্গে সঙ্গে লাল কার্ড দেখিয়ে বার করে দেন রেফারি। সিলভার দল ক্রুজেইরোকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দেয় অ্যাথলেটিকো প্যারানেন্স।
সিলভা ম্যাচ শুরু হতেই কনুই দিয়ে আঘাত করেন অ্যাথলেটিকোর কাইকি রোচাকে। কিক অফ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ঘাড়ে কনুই দিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করেন তিনি। যে কারণে লাল কার্ড দেখানো হয় সিলভাকে। তখন ম্যাচের বয়স তিন সেকেন্ড।
তবে এত তাড়াতাড়ি লাল কার্ড দেখার ঘটনা ফুটবলে এই প্রথম নয়। সিলভার আগে আরও চার জন ফুটবলারের ক্ষেত্রে এই নজির আছে। এঁদের মধ্যে তিন জন তিন সেকেন্ডেরও কম সময়ে লাল কার্ড দেখেছেন। অন্য এক জনকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সিলভার মতোই তিন সেকেন্ডের মাথায়।
২০০৭ সালে শেফিল্ড ইউনাইটেডের কেইথ গিলেসপি শূন্য সেকেন্ডে লাল কার্ড দেখেছিলেন। প্রিমিয়ার লিগের সেই ম্যাচে তিনি প্রথমার্ধে খেলেননি। দ্বিতীয়ার্ধে তাঁকে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কোচ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার আগেই লাল কার্ড দেখেছিলেন। বিরতির পর খেলা শুরু হওয়ার ঠিক আগে রিডিংয়ের স্টিফেন হান্টকে কনুই দিয়ে মারেন গিলেসপি। এক বার নয়, দু’বার। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। যেহেতু তখনও দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হয়নি, তাই শূন্য সেকেন্ডে লাল কার্ড দেখার লজ্জার রেকর্ড তাঁর দখলে।
প্রায় একই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন ওয়াল্টার বয়েড। ২০০০ সালে সোয়ানসি বনাম ডার্লিংটনের ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছিলেন তিনি। খেলা শুরু হওয়ার আগেই বিপক্ষের এক ফুটবলারকে কনুই মেরেছিলেন বয়েড। সেই কারণে লাল কার্ড দেখানো হয়েছিল তাঁকে।
২০০০ সালে লি টড নামের এক ফুটবল ২ সেকেন্ডে লাল কার্ড দেখেছিলেন। ক্রস ফার্ম পার্কের হয়ে খেলছিলেন তিনি। টনটন ইস্ট রিচ ওয়ান্ডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল। সেই ম্যাচে টড রেফারিকে কটূক্তি করেছিলেন। রেফারি তাঁর কানের কাছে বাঁশি বাজিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন টড। তাই তিনি রেফারিকে কটূক্তি করেছিলেন। ম্যাচ শুরুর ২ সেকেন্ডের মধ্যে লাল কার্ড দেখতে হয় টডকে।
২০১৩ সালে ৩ সেকেন্ডের মাথায় লাল কার্ড দেখেছিলেন সার্জ জিহৌয়া। তিনি মাঠে নেমেই হাত ছুড়েছিলেন বিপক্ষ ফুটবলারের মুখে। গ্রিস ফুটবলের দ্বিতীয় ডিভিশনের ফুটবলে এই ঘটনাটি ঘটেছিল।