এই বল নিয়েই অভিযোগ বাংলার। নিজস্ব চিত্র
শুক্রবার পঞ্জাবকে ১-০ গোলে হারিয়ে সন্তোষ ট্রফিতে অভিযান শুরু করেছে বাংলা। কিন্তু ম্যাচের পরেই আয়োজকদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিল বাংলা শিবির। বাংলার বিরুদ্ধে সরাসরি বঞ্চনার অভিযোগ আনা হয়েছে। যে বল নিয়ে ম্যাচ হয়েছে, সেই বল অনুশীলনে পায়নি বাংলা। পাশাপাশি তাদের অভিযোগ, যে মাঠে তাদের ম্যাচ দেওয়া হয়েছিল তার মাপও সঠিক মানের নয়। তবে এখনই সরকারি ভাবে কোনও অভিযোগ জানানো হচ্ছে না বাংলার তরফে।
কেরলে গিয়ে অনুশীলনের সময়ে যে বল দেওয়া হয়েছিল বাংলাকে, ম্যাচ সেই বলে খেলা হয়নি। অন্য বলে ম্যাচ হয়েছে। তবে প্রতিপক্ষ পঞ্জাবের কাছে সেই বল ছিল। তারা সেই বলেই অনুশীলন করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই ম্যাচে প্রাধান্য পেয়েছে তারা। পরিস্থিতি সামলাতে নিজেদের খরচেই সেই বল বাজার থেকে কিনছে বাংলা। পরের ম্যাচের আগে সেই বলে অনুশীলন করবে তারা। বাংলার কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানালেন, যে বলে তাঁরা অনুশীলন করেছেন সেই বলের চরিত্র এক রকম। যে বলে ম্যাচ খেলা হয়েছে তার চরিত্র আর এক রকম। ম্যাচের বল কখনও কখনও ধীর গতির হয়ে যাচ্ছে। আবার কখনও দ্রুত গতিতে ছুটছে। নতুন বলের সঙ্গে বাংলার ফুটবলাররা এত কম সময়ে মানিয়ে নিতেই পারেনি। ফলে ম্যাচে ব্যবধানও বাড়েনি।
আনন্দবাজার অনলাইনকে রঞ্জন বলেছেন, “এটা চূড়ান্ত বৈষম্য ছাড়া আর কিছু নয়। প্রতিপক্ষ সেই বল পেল, আর আমরা পেলাম না। কোন যুক্তিতে এটা হতে পারে? মহীতোষ, শ্রীকুমারদের খেলতে অসুবিধা হয়েছে। মাঠ নিয়েও আমাদের অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ মাঠের মাপ যা হয়, এই মাঠ তার থেকে বেশ কিছুটা ছোট। এতে পঞ্জাবের বেশি সুবিধা হয়েছে। মাঠ বড় হলে আরও বেশি জায়গা নিয়ে খেলতে পারতাম আমরা। কিন্তু আজ সেটা পারিনি। পঞ্জাব সব বল সরাসরি বক্সে ফেলছিল। কখনও লম্বা পাস দিয়ে একেবারে বক্সে ঢুকে পড়ছিল। মাঠ বড় হলে সেটা কোনও দিন করতে পারত না।”
রঞ্জন জানালেন, আয়োজকদের কাছে ম্যাচের সেই বল অনুশীলনের জন্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা পাওয়া যাচ্ছে না। আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় শুক্রবারই কেরল গিয়েছেন। তিনি জানালেন, পরিস্থিতি সামলাতে তারাই নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে ম্যাচের বল কিনছেন। এ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। তিনি নিজেও আয়োজকদের ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষিপ্ত। কিন্তু এখনই সরকারি ভাবে অভিযোগ জানাতে চাইছেন না।