ধাক্কা: টটেনহ্যামের হার বাঁচাতে পারলেন না লরিস। ছবি: রয়টার্স।
ইপিএল
টটেনহ্যাম ০ অ্যাস্টন ভিলা ২
নটিংহ্যাম ফরেস্ট ১ চেলসি ১
নতুন বছরেই হোঁচট খেল আন্তোনিয়ে কন্তের টটেনহ্যাম হটস্পার। হুগো লরিস, হ্যারি কেনদের নিয়ে সাজানো দলও হার মানল পয়েন্ট টেবলে বারো নম্বরে থাকা অ্যাস্টন ভিলার কাছে। যে দলের হয়ে রবিবার মাঠেই নামেননি বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলের গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেস!
এই হারের সঙ্গে প্রথম চার দলের দৌড়ে থাকা থেকেও বেশ কিছুা পিছিয়ে গেল স্পার্স। ১৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩০। এক ম্যাচ কম খেলে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে চারে উঠল ম্যান ইউ।
পরিসংখ্যান বলছে, শেষ সাত ম্যাচে কন্তের দল জিতেছে মাত্র দুটি ম্যাচে! তার মধ্যে এ দিন ৫০ মিনিটে ভিলার এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়ার গোল হল স্রেফ লরিসের ভুলে। ৭৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে যান ডগলাস লুইজ়। আগাগোড়া দলের দিশাহীন ফুটবল দেখে হতাশ কন্তেও। ম্যাচের পরে তিনি বলেছেন, “ইপিএল ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে আমাদের কাছে। মাঠে নেমে পরিস্থিতি বুঝে নিজেদের প্রয়োগ না করতে পারলে ভাল ফল পাওয়া সম্ভব নয়। এটা অনুভব করতে হবে ফুটবলারদেরও। এই হার কোনও বাবেই প্রত্যাশিত ছিল না।”
এ দিনের অন্য ম্যাচে চেলসি ১-১ ড্র করল নটিংহ্যাম ফরেস্টের সঙ্গে। ১৬ মিনিটে চেলসিকে এগিয়ে দেন রাহিম স্টার্লিং। দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরান নটিংহ্যাম ফরেস্টের সার্জ অরিয়ের। এই ড্রয়ের ফলে ১৬ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে উঠে এল চেলসি। যা পরিস্থিতি তাতে অ্যাওয়ে ম্যাচে এ ভাবে পয়েন্ট নষ্ট করলে চেলসিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূলপর্বে খেলার সুযোগ হাতছাড়া করতে হতে পারে।
এ দিকে, খেতাবি দৌড়ে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। শনিবার পেপ গুয়ার্দিওলার দল ১-১ ড্র করে এভার্টনের সঙ্গে। সেখানে মিকেল আর্তেতার দল আর্সেনাল ৪-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রাইটনকে।
আর্তেতার ক্লাব এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যান সিটির থেকে সাত পয়েন্ট এগিয়ে গিয়েছে। আর্সেনাল শেষ বার প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০০৩-২০০৪ মরসুমে। সে বার বিখ্যাত ফরাসি কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারের প্রশিক্ষণে এই ক্লাব ৩৮ ম্যাচে ৯০ পয়েন্ট পেয়েছিল। কোনও ম্যাচে হারেওনি।
ফুটবল মহলের একটি অংশের প্রত্যাশা, দীর্ঘ দু’দশকের বেশি সময় পরে আর্সেনাল ইপিএল চ্যাম্পিয়ন হতেই পারে।
এ দিকে, এতিহাদ স্টেডিয়ামের ক্লাবে যাবতীয় চর্চা নরওয়ের তরুণ আর্লিং হালান্ডকে নিয়ে। তাঁর দল এভার্টনের সঙ্গে ড্র করলেও শনিবারও নরওয়ের তারকা গোল পেয়েছেন। যা তাঁর এই মরসুমের ২১তম গোল। প্রসঙ্গত এক বছরে জানুয়ারির আগে এত দ্রুত লিগে কেউ ২০ গোল করতেই পারেননি। কেউ কেউ তাই তাঁর প্রসঙ্গে লিয়োনেল মেসি আর কিলিয়ান এমবাপের কথাও তুলছেন। ২০১১-’১২ মরসুমে বার্সেলোনার হয়ে লা লিগায় প্রথম মরসুমে আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তি প্রথম ১৬ ম্যাচে ১৭ গোল করেছিলেন। সেখানে প্রিমিয়ার লিগে এ বার তার থেকে একটা ম্যাচ কম খেলে এর মধ্যেই ২১টি গোল করে ফেলেছেন হালান্ড। সে বার লা লিগায় মেসির গোল ছিল ৫০টি। চর্চা শুরু হয়েছে, হালান্ড কি সে রেকর্ডও ভেঙে দেবেন?