লিয়োনেল মেসি (বাঁ দিকে) এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। — ফাইল চিত্র।
আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের হয়ে খেলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই লিয়োনেল মেসিকে বেশি পছন্দ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু ইয়ামিলা রদ্রিগেস বাকিদের থেকে আলাদা। তাঁর বাঁ পায়ে বড় করে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর উল্কি আঁকা রয়েছে। মেয়েদের বিশ্বকাপে সেটা প্রকাশ্যে আসতেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইয়ামিলা। তবে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে সমালোচকদের একহাত নিয়েছেন তিনি।
আর্জেন্টিনার বাসিন্দা হলেও অনেক রোনাল্ডো-সমর্থক সে দেশে আছেন। একই কথা প্রযোজ্য পর্তুগালের ক্ষেত্রেও। সে দেশের মেসি-সমর্থক খুঁজলে অনেককে পাওয়া যাবে। তাই পায়ে রোনাল্ডোর মুখ দেওয়া উল্কি আঁকানোয় বেশির ভাগই ইয়ামিলার কোনও অপরাধ দেখছেন না। কিন্তু সাধারণ সমর্থকেরা সে কথা শুনলে তো! সমাজমাধ্যমে তীব্র বিদ্বেষের শিকার হচ্ছেন তিনি। প্রতি মুহূর্তে কোনও না কোনও কটু মন্তব্য শুনতে হচ্ছে তাঁকে।
সেই সমালোচনার বিরুদ্ধে এ বার মুখ খুলেছেন ইয়ামিলা। ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, “দয়া করুন। যথেষ্ট হয়েছে। আমার মোটেও এ সব ভাল লাগছে না। আমি কখন বলেছি যে আমি মেসি-বিরোধী? আমি যা বলেছি তার ভুল ব্যাখ্যা করবেন না। বিশ্বকাপের মতো একটা প্রতিযোগিতা চলার মাঝেও আমি মানসিক ভাবে ভাল জায়গায় নেই। দেশের হয়ে খেলতে নেমেছি। কোনও রকম সমীহ ছাড়াই আপনারা যে সব কথা বলে চলেছেন, তার জন্যেই আমি খারাপ খেলছি। আমার আদর্শ ফুটবলার কি অন্য কোনও ফুটবলার হতে পারেন না?”
এই সেই উল্কি। ছবি: রয়টার্স
মেসির প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল ইয়ামিলা। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ীর প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন তিনি। লিখেছেন, “কখনও বলিনি আমি মেসি-বিরোধী। কোনও দিন সেটা হবে না। ও আমাদের জাতীয় দলের অধিনায়ক। আমি এটাই বলতে চাই যে, রোনাল্ডো আমার আদর্শ হলেও আমি মেসিকে অপছন্দ করি না। যিনি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন, তাঁকেই আমি পছন্দ করি। প্রত্যেকেরই সেই অধিকার রয়েছে।”
তিনি আরও লিখেছেন, “লোকের এত সমস্যা কিসের? নিজের দেশের ফুটবলারকেই ভালবাসতে হবে এমনটা কোথায় বলা আছে? এটা যে ফুটবল খেলা সেটা দয়া করে বুঝুন। প্রত্যেকের নিজস্ব পছন্দ রয়েছে। এক জনকে তুলে ধরা মানে অন্য জনকে ছোট করা নয়।