লিয়োনেল মেসি। ছবি: রয়টার্স।
আট বছর আগে আমেরিকায় আয়োজিত হয়েছিল কোপা আমেরিকার একশো বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ প্রতিযোগিতা হয়েছিল। সে বার নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফাইনালে চিলি টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল। সেই মাঠে আবার মুখোমুখি দুই দেশ। আবার সেই কোপা আমেরিকার মঞ্চে। তবে আর্জেন্টিনার কোচ আত্মবিশ্বাসী। সাফ জানিয়েছেন, পুরনো ম্যাচ আর প্রভাব ফেলবে না।
আর্জেন্টিনা ওই ম্যাচে হারার পর অবসর নিয়েছিলেন মেসি। কয়েক মাস পরে আবার ফিরে আসেন। পরে কোপা আমেরিকাই নয়, বিশ্বকাপও জিতেছেন। সেই ম্যাচের পর কোপা আমেরিকায় চিলিকে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। আবার একই মাঠে কি পুরনো স্মৃতি ফিরে আসবে মেসিদের?
ম্যাচের আগে কোচ লিয়োনেল স্কালোনি বলেছেন, “২০১৬-র ফাইনালের আর কিছুই আমাদের মনে নেই। আগের দিনই বলেছিলাম, আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ঠিকই। কিন্তু সেই দিন পেরিয়ে গিয়েছে। ফুটবলটা এমনই। রোজই নতুন দিন শুরু হয়।”
স্কালোনির সংযোজন, “ফুটবল এগিয়ে যায়। চাকা ঘুরতে থাকে। বল এক জায়গায় কখনও দাঁড়িয়ে থাকে না। আগের কিছুই আর আমাদের মনে নেই। সব ইতিহাস হয়ে গিয়েছে। পিছনে তাকিয়েও কোনও লাভ নেই।”
চিলির কোচ যিনি, সেই রিকার্ডো গারেকা খেলেছেন আর্জেন্টিনার হয়ে। মেসিদের চেনেন ভাল মতোই। জানিয়েছেন, নিজের দেশের বিরুদ্ধে কোচিং করাতে বেশ ভালই লাগে তাঁর। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে প্রথম বার জিততে মরিয়া তিনি। অতীতে পেরুর কোচ হিসাবে আর্জেন্টিনার কাছে দু’বার হেরেছেন এবং দু’বার ড্র করেছেন।
গারেকা বলেছেন, “আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে খেলতে সব সময়েই ভাল লাগে। শুধু জাতীয় দল বলে নয়, আর্জেন্টিনার যে গরিমা সেটা মাথায় রেখেই বলছি। আমি লড়াই ভালবাসি সব সময়েই। আপাতত চিলির জাতীয় দলের প্রতি মনোযোগ রয়েছে।”
আগের ম্যাচে কানাডাকে ২-০ হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা খেলবে চিলির বিপক্ষে। জিতলেই আর্জেন্টিনার পরের পর্বে যাওয়া এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে যাবে।