গোলের পরে আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স।
মরক্কোর কাছে হারের ধাক্কা কাটিয়ে জয়ে ফিরল আর্জেন্টিনা। প্রথম ম্যাচে ১-২ গোলে হেরেছিল তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে ইরাককে ৩-১ গোলে হারাল আর্জেন্টিনা। এই জয়ের ফলে অলিম্পিক্স ফুটবলে কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকল লিয়োনেল মেসির দেশ।
ইরাকের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করে আর্জেন্টিনা। প্রথম থেকেই ইউলিয়ান আলভারেসকে নামিয়ে দেন কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো। তার ফলও পায় দল। ১৩ মিনিটের মাথায় আলভারেসের পাস থেকে গোল করেন থিয়াগো আলমাডা।
এগিয়ে যাওয়ার পরেও আক্রমণ কমায়নি আর্জেন্টিনা। থিয়াগো, ক্রিশ্চিয়ান মেদিনারা একের পর এক আক্রমণ তুলে আনছিলেন। চাপ সামলে খেলা ধরতে শুরু করে ইরাকও। আর্জেন্টিনার গোল লক্ষ্য করে কয়েকটি শট মারে তারা। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি ইরাক। খেলা বিরতির দিকে এগোচ্ছিল। ঠিক তখনই আর্জেন্টিনাকে ধাক্কা দেন আয়মেন হুসেন। সংযুক্তি সময়ে গোল করেন তিনি। ১-১ গোলে বিরতিতে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল করা চেষ্টা করতে থাকে আর্জেন্টিনা। কোচ কয়েকটি পরিবর্তন করেন। ফলে আর্জেন্টিনার খেলার গতি বাড়ে। তার ফল পায় তারা। ৬২ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে আবার এগিয়ে দেন লুসিয়ানো গন্ডৌ। কেভিন জেননের পাস থেকে গোল করেন তিনি।
গোল খেয়ে সমতা ফেরানোর চেষ্টা করে ইরাক। কিন্তু আর্জেন্টিনা রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেনি। ইরাক ওপেন ফুটবল খেলা শুরু করায় আর্জেন্টিনাও সুযোগ পেতে থাকে। ৮৪ মিনিটের মাথায় দলের তৃতীয় গোল করেন এজ়েকুইয়েল ফের্নান্দেস। এই গোলের পাসও বাড়ান আলভারেস। ১-৩ গোলে পিছিয়ে থাকার পরে আর ফিরতে পারেনি ইরাক। হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
প্রথম ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্তে হারতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। খেলা শেষ হওয়ার আগেই মাঠে নেমে ঝামেলায় জড়ান মরক্কোর ফুটবলারেরা। প্রায় দু’ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। নতুন করে খেলা শুরু হওয়ার পরে আর্জেন্টিনার গোল বাতিল করেন রেফারি। সেই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন মাসচেরানো। বিতর্ক সরিয়ে এ বার জয়ে ফিরল আর্জেন্টিনা।