মোহনবাগানের হয়ে গোল করার পরে সুহেল ভাট। ছবি: এক্স।
ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে ডাউনটাউন হিরোজ়ের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। ৭২ মিনিট পর্যন্ত গত বারের চ্যাম্পিয়ন দলকে আটকে রেখেছিল ডাউনটাউন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারল না তারা। সুহেল ভাটের করা একমাত্র গোলে জিতল মোহনবাগান। কাশ্মীরের ছেলে সুহের কাশ্মীরের দলের বিরুদ্ধেই গোল করলেন।
বেশির ভাগ বিদেশি এখনও যোগ না দেওয়ায় ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে বেশ কয়েক জন তরুণ ফুটবলার নামিয়েছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কোচ বাস্তব রায়। হোসে মোলিনা না আসায় তিনিই এই ম্যাচে কোচের দায়িত্বে ছিলেন। দলে একমাত্র বিদেশি টম অলড্রেডকে রাখেন তিনি। কলকাতা লিগে খেলা রাজ বাসফোর, অভিষেক সূর্যবংশী, টাইসন সিংহ, সুহেলদের দিয়ে দল সাজিয়েছিলেন তিনি। মাত্র চার জন ফুটবলার ছিলেন বেঞ্চে।
শুরু থেকে দু’দলই বলের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছিল। গত বারের ডুরান্ডে গ্রুপের তিনটি ম্যাচই হেরেছিল ডাউনটাউন। সেই দলের বিরুদ্ধেও গোলের মুখ খুলতে পারছিল না বাগান। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, প্রথম ম্যাচে বোঝাপড়ায় সমস্যা রয়েছে। আশিস রাই, গ্লেন মার্টিন্সের মতো অভিজ্ঞদের কাঁধে ছিল বাড়তি দায়িত্ব। তার মাঝেই ফ্রি কিক থেকে সুহেলের বাঁ পায়ের শট বারে লেগে বেরিয়ে যায়। ডাউনটাউনকেও আটকে রেখেছিল বাগানের ডিফেন্স। ফলে গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা হলেও আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায় বাগান। কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে তারা। কিন্তু কিছুতেই গোল হচ্ছিল না। ৭১ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে বাগান গোলরক্ষক জাহিদ একটি বল ধরতে গিয়ে মিস্ করেন। ডাউনটাউনের ফুটবলার পায়ে লাগাতে পারলেই গোল খেয়ে যেত মোহনবাগান। ভাগ্য ভাল ছিল তাদের। দু’মিনিট পরেই বাগানকে এগিয়ে দেন সুহেল। মার্টিন্সের পাস ধরে বক্সে বল বাড়ান অভিষেক। ডান প্রান্ত ধরে উঠে আশিস পাস বাড়ান সুহেলের দিকে। বক্সের মধ্যে থেকে গোল করতে ভুল করেননি কাশ্মীরের ছেলে।
এগিয়ে যাওয়ার পরে রক্ষণে জোর দেয় বাগান। বদল করা হয় গোলরক্ষককেও। নামেন এ বারই দলে আসা ধীরজ সিংহ। বাকি সময়ে কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিল ডাউনটাউন। কিন্তু বাগানের রক্ষণ ভাঙতে পারেনি তারা। জিতে মাঠ ছাড়ে বাগান। তবে প্রথম ম্যাচে মোহনবাগান যে ভাবে ডাউনটাউনের মতো দুর্বল দলের বিরুদ্ধে সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হল, তা চিন্তায় রাখবে সমর্থকদের।