আত্মবিশ্বাসী: অনুশীলনে কোচ হাবাস। ছবি: এটিকে-মোহনবাগান
অভিষেকের আইএসএলেই তিনি এটিকে-কে চ্যাম্পিয়ন করে চমকে দিয়েছিলেন। ২০১৯-’২০ মরসুমেও তাঁর হাত ধরে ভারত সেরা হয়েছিলেন প্রীতম কোটালরা। কিন্তু এটিকে-মোহনবাগানের কোচ হিসেবে আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসের পূরণ হয়নি গত মরসুমে ফাইনালে মুম্বইয়ের কাছে হেরে। ১৯ নভেম্বর অষ্টম আইএসএলের উদ্বোধনী ম্যাচে রয় কৃষ্ণদের প্রতিপক্ষ কেরল ব্লাস্টার্স। বুধবারই তিনি কন্যা সন্তানের পিতা হয়েছেন। প্রস্তুতির ফাঁকে গোয়া থেকে সংবাদমাধ্যমের নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন সবুজ-মেরুন কোচ।
প্রস্তুতি ম্যাচে আপত্তি: কখনওই বলিনি যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে আমার সমস্যা রয়েছে। গত মরসুমেও আমরা খেলিনি। এই ধরনের ম্যাচে কোনও দলই পুরো শক্তি নিয়ে খেলে না। নিজেদের মধ্যে খেললে বরং শক্তি ও দুর্বলতা চোখে পড়ে। আমি চাই, সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই খেলুক ছেলেরা।
ভাবনায় শুধু জয়: ম্যাচ জেতা এবং চ্যাম্পিয়ন হওয়াই একমাত্র লক্ষ্য। হার বা ড্রয়ের ব্যাপারে কখনওই আমি ভাবি না। সব প্রতিপক্ষকে সম্মান জানিয়ে বলছি, আমি শুধু জিততেই চাই। তার জন্য সব কিছু করতে রাজি।
প্রতিপক্ষ নিয়ে আগ্রহ নেই: অন্য কোনও দলের ব্যাপারে আমার আগ্রহ নেই। যখন খেলব, তখনই শুধু প্রতিপক্ষকে নিয়ে ভাবব। এই মুহূর্তে নিজেদের দল নিয়েই ভাবনা-চিন্তা করছি। ভুল-ভ্রান্তি শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করছি।
আল নাসাফের কাছে ০-৬ হার: এই ম্যাচটা নিয়ে ভাবতেই চাই না। আমার জীবন এখন শুধু মাত্র এটিকে-মোহনবাগান কেন্দ্রিক। গত মরসুমে আমাদের সেরা ম্যাচগুলি নিয়েই আলোচনা হোক।
রক্ষণে সন্দেশের অনুপস্থিতি: দলে যারা রয়েছে, তাদের থেকে সেরাটা বার করে আনাই প্রধান লক্ষ্য। তা ছাড়া প্রীতম কোটাল, শুভাশিস (বসু), সুমিত (রাঠি), দীপক (টাংরি)-র মতো অসাধারণ ফুটবলার রয়েছে। কার্ল ম্যাকহিউও আছে।
ভারসাম্যে জোর: অতীতে কী হয়েছিল, কী ভাবে খেলেছিলাম, আমার কাছে মূল্যহীন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল দলে ভারসাম্য আনা। আমার দল যেমন রক্ষণ মজবুত করে খেলবে, তেমনই আক্রমণে উঠবে।
এই মরসুমের রণকৌশল: সব সময় যে একই ধরনের ফুটবল খেলতে হবে, তার কোনও অর্থ নেই। ফুটবলারদের শক্তি-দুর্বলতার উপরে ভিত্তি করেই আমাকে রণনীতি তৈরি করতে হবে।