ডার্বির একটি মুহূর্ত। ছবি: পিটিআই।
চলতি আইএসএলের প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে অফসাইড ও পেনাল্টির ক্ষেত্রে এই বিতর্ক আরো বেশি হয়েছে। রবিবার মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে অন্তত তিনটি পেনাল্টির ক্ষেত্রে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেফারি তেজস নাগভেঙ্কর। বার বার ‘ভার’ প্রযুক্তি চালু করার দাবি উঠেছে। কিন্তু ‘ভার’ নিয়ে চুপ সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা (এআইএফএফ)। এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না তারা।
রবিবারই অরুণাচল প্রদেশের ইটানদরে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভা ছিল। সেখানে সংস্থার কার্যকরী সমিতি বৈঠক করে। উপস্থিত ছিলেন এআইএফএফ সফাপতি কল্যাণ চৌবে। সেখানে রেফারির মান নিয়ে কথা হয়েছে। এআইএফএফ-এর চিফ রেফারিং অফিসার একটি রিপোর্ট জনা দিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, আইএসএলের ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে রেফারি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অর্থাৎ, এত বিতর্কের পরেও রেফারির পক্ষেই কথা বলছেন এআইএফএফ।
বৈঠকে ‘ভার’ প্রযুক্তি চালু করা নিয়েও কথা হয়েছে। পাঁচটি এজেন্সির সঙ্গে নাকি কথা বলা হয়েছে। ভারতীয় ফুটবলে ‘ভার’ চালু করা যাবে না, এমনটা বলছেন না কর্তারা। তবে এই মরসুমে তা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। পরবর্তী মরসুমের আগে এই বিষয়ে আলোচনা হবে। সব ঠিক থাকলে পরের মরসুম থেকে এই প্রযুক্তি শুরু করা যেতে পারে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আবার বৈঠকে বসবে এআইএফএফ। সেখানে এই বিষয়ে আরও আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
রবিবারের ডার্বিতে ১৩ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। বক্সে ক্লেটন সিলভার সঙ্গে ধাক্কা লাগে মোহনবাগানের গোলরক্ষক বিশাল কাইথের। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টি দেন। পরে রিপ্লে-তে দেখা যায়, বিশাল ইচ্ছা করে ধাক্কা মারেননি। এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যেখানে তাঁর কিছু করার ছিল না। বড় ম্যাচের শুরুতেই এমন একটি সিদ্ধান্ত রেফারি না-ও দিতে পারতেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার মোহনবাগানের জেসন কামিন্সকে বক্সে ফাউল করা হয়। স্পষ্ট দেখা যায়, কামিন্সের পায়ে মারা হয়েছিল। কিন্তু রেফারি সে ক্ষেত্রে পেনাল্টি দেননি। ম্যাচের শেষ দিকে আবার ইস্টবেঙ্গলের পিভি বিষ্ণুকে বাগান বক্সে ট্যাকল করা হয়। স্পষ্ট বিষ্ণুর পায়ে মারা হয়েছিল। রেফারি পেনাল্টি তো দেনই নি, উল্টে বিষ্ণুকেই ডাইভের জন্য হলুদ কার্ড দেখান। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠেই বিরক্তি প্রকাশ করেন দুই প্রধানের কোচ। কিন্তু তার পরেও চুপ এআইএফএফ। ‘ভার’ প্রযুক্তি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই নিতে পারছে না তারা।