লিয়োনেল মেসি। ছবি: এএফপি।
চোটের জন্য খেলেননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তবু আল নাসেরের কাছে প্রীতি ম্যাচে ০-৬ গোলে হারল লিয়োনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। সৌদি আরবে শুভেচ্ছা সফরে এসে প্রথম ম্যাচেই দলের বড় ব্যবধানে হার দেখতে হল বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার অধিনায়ককে।
সৌদি আরবের পর্যটন দূত মেসি। পরিবার নিয়ে বছরে এক বার এশিয়ার দেশটিতে ঘুরতে আসেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। পর্যটক মেসির সময় সৌদি আরবে ভাল কাটলেও ফুটবলার মেসি সে দেশে হোঁচট খাচ্ছেন বার বার। গত কাতার বিশ্বকাপে এই সৌদি আরবের বিরুদ্ধেই প্রথম ম্যাচে মেসির আর্জেন্টিনা হেরে গিয়েছিল ১-২ ব্যবধানে। গত বছর প্যারিস সঁ জরমের হয়ে প্রাক্ মরসুম সফরে এসেছিলেন মেসি। আল হিলাল এবং আল নিসারের যৌথ দলের বিরুদ্ধে তাঁর দল জিতেছিল ৫-৪ গোলে। একটি গোল করেছিলেন মেসি। আর এ বার বেঞ্চে বসে দেখলেন দলকে ০-৬ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়তে।
চোটের জন্য রোনাল্ডো মাঠের বাইরে। প্রীতি ম্যাচ হওয়ায় মেসিকেও শুরু থেকে মাঠে নামাননি মায়ামি কোচ। সাইড বেঞ্চে বসে সতীর্থদের খেলা দেখছিলেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে মেসি নামার আগেই ইন্টার মায়ামি ০-৬ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে আস নাসেরের কাছে। মেসি মাঠে নামার সময় মায়ামির পক্ষে ম্যাচ জেতা বা ড্র করা কোনওটাই সম্ভব ছিল না। হয়নিও। তবে মেসি মাঠে নামার পর তাঁর দল আর গোল খায়নি।
স্টেডিয়ামের ভিআইপি বক্সে বসে মেসির দলের হাফ ডজন গোল খাওয়া উপভোগ করেছেন এক সময় তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষদের অন্যতম রোনাল্ডো। মেসির দলকে তাঁর আল নাসের ৬ গোল দেওয়ায় খুশি পর্তুগিজ অধিনায়ক। এর আগে আল হিলালের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচেও ৩-৪ ব্যবধানে হেরেছিল মেসির দল। এই ম্যাচে রোনাল্ডো-মেসি যে মুখোমুখি হবেন না, তা আগেই জানা গিয়েছিল। তবু রোনাল্ডোর ঘরে এসে দলের ৬ গোল হজম করা লিয়োকে বেশি হতাশ করতেই পারে। বেঞ্চে বসে থাকার সময় মেসির থমথমে মুখ দেখে এমনই মনে করছেন ফুটবলপ্রেমীদের একাংশ।