দিমিত্রি পেত্রাতোস। —ফাইল চিত্র।
বছরের প্রথম ডার্বি। কলকাতার বাইরে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। কোথায় খেলা, সেটা বিষয় নয়। আসল এবং এক মাত্র লক্ষ্য হল জয়। পৃথিবীর যে প্রান্তেই খেলা হোক, জয় ছাড়া বোঝেন না দুই প্রধানের সদস্য-সমর্থকেরা।
বছরের প্রথম ডার্বিতে খাতায়কলমে কিছুটা পিছিয়ে মোহনবাগান। চোট এবং জাতীয় দল মিলিয়ে সাত জন ফুটবলারকে পাবে না সবুজ-মেরুন শিবির। আইএসএলের কয়েকটি ম্যাচে টানা ব্যর্থতায় চাকরি গিয়েছে কোচ জুয়ান ফেরান্দোর। সদ্য দায়িত্ব নিয়েছেন আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। সব মিলিয়ে বছরের প্রথম ডার্বির আগে তেমন সুখে নেই মোহনবাগান। তাই বলে তাদের হালকা ভাবে নেওয়ার কোনও সুযোগ নেই ইস্টবেঙ্গল শিবিরের। কারণ অনেক নেইয়ের মধ্যে মোহনবাগানে আছেন তিন জন ফুটবলার। যাঁরা নিজেদের দিনে একাই বদলে দিতে পারেন ম্যাচের রং।
দিমিত্রি পেত্রাতোস: অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার এ বারের মোহনবাগান দলের অন্যতম প্রধান অস্ত্র। ৩১ বছরের ফুটবলারকে নজরে না রাখলেই বিপদ। মাঝমাঠ থেকে খেলা তৈরি করতে পারেন। বক্সের মধ্যে বিপজ্জনক। মোহনবাগানকে বেশ কয়েকটি কঠিন ম্যাচে উতরে দিয়েছে পেত্রাতোসের ফুটবল দক্ষতা। সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে ৩১টি ম্যাচে ১৫টি গোল রয়েছে তাঁর। প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভাঙতে এই ফুটবলারকে সমীহ না করলে ভুল করবে ইস্টবেঙ্গল।
জেসন কামিন্স: ২০২২ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলে ছিলেন কামিন্স। ২৮ বছরের স্ট্রাইকারের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আদতে স্কটিশ কামিন্স বক্সের মধ্যে বিপজ্জনক। হাফ চান্স থেকে গোল করতে পারেন। তাঁকে সামনে রেখেই আক্রমণ গড়ে তোলেন সবুজ-মেরুন ফুটবলারেরা। গত বছর ডুরান্ড কাপে প্রথম ডার্বিতে সহজ সুযোগ নষ্ট করেছিলেন। ম্যাচ হেরে যায় মোহনবাগান। সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বিশ্বকাপার। পরবর্তী সময় অবশ্য ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন কামিন্স। একাই ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন তিনি।
হুগো বুমোস: ছয় বছর ধরে খেলছেন ভারতে। মোহনবাগানে ফরাসি ফুটবলার খেলছেন ২০২১ থেকে। কোনও প্রতিপক্ষই তাঁর অচেনা নয়। মোহনবাগানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। ২৮ বছরের আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডারই এখন সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের মাঝমাঠের জেনারেল। আক্রমণ তৈরির মূল দায়িত্ব থাকে তাঁরই কাঁধে। মাঝমাঠকে নিয়ন্ত্রণ করেন বুমোস। তিনি মাঠে থাকা মানেই মাঝমাঠের দখল থাকবে সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের পায়ে। বুমোসকে গুরুত্ব না দিলে ভুল করবেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কোয়াদ্রাত।