সুশীল কুমার। ফাইল ছবি
কুস্তিগীর সাগর রানা হত্যাকাণ্ডে এবার মহিলা যোগের কথা জানতে পারল পুলিশ। অলিম্পিক্স পদকজয়ী সুশীল কুমার ও তাঁর বন্ধু অজয়ের সঙ্গে নিহত সাগর ও তাঁর বন্ধু সোনুর ঝামেলার মূলে নাকি এক তরুণী। ওই তরুণীর সঙ্গে সোনুর সম্পর্ক রয়েছে।
গত মার্চে সোনুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ওই তরুণীর সঙ্গে ঝামেলা, কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন অজয়। তারপর থেকেই সুশীল-অজয়ের সঙ্গে সাগর-সোনুর সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। ৪ মে ছত্রসাল স্টেডিয়ামে সাগর খুনের দিন সোনুকেও মারধোর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সাগর মারা গেলেও সোনু বেঁচে যান। তবে তাঁর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক ছিল।
ঘটনার সূত্রপাত সুশীলের মডেল টাউনের ফ্ল্যাটে সাগর এবং সোনুর থাকা নিয়ে। বারবার বলা সত্ত্বেও তাঁরা ওই ফ্ল্যাট খালি করেননি বলে অভিযোগ। এতেই মাথা গরম হতে থাকে সুশীল এবং অজয়ের। এরপর সেই ফ্ল্যাটে সোনুর জন্মদিনের অনুষ্ঠান চলতে দেখে প্রচণ্ড রেগে যান অজয়।
দিল্লি পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, জন্মদিনের ওই অনুষ্ঠানে সোনু আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাঁর বান্ধবীকে। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার ঠিক আগে সেখানে অজয় যান। ঠিক তখনই কোনও কারণে সাগর এবং সোনু ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান। তখন সেখানে শুধু অজয়, সোনুর বান্ধবী এবং পরিচারক ছিলেন। সোনুর জন্মদিনের উৎসবের আয়োজন হচ্ছে দেখে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারেননি অজয়। সোনু এবং সাগর ওই সময় ফ্ল্যাটে না থাকলেও অজয় তাঁদের উদ্দেশে গালিগালাজ করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানতে পেরেছে ওই তরুণীর সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেন অজয়। ফ্ল্যাট খালি না করলে খুব খারাপ হবে বলে নাকি হুমকি দেন। সোনু এবং সাগর ফিরে এলে ওই তরুণী এবং পরিচারক তাঁদের গোটা ঘটনা বলেন। এরপর সোনু এবং সাগর ফোন করে অজয়কে হুমকি দেন, গালিগালাজ করেন। পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। তার পরিণতি সাগরের খুন হওয়া।
সোনুর বান্ধবী জেরায় যা জানিয়েছেন, তাতে পুলিশের মনে হয়েছে অপরাধজগতের সঙ্গে সুশীল-অজয়ের যুক্ত থাকা বা সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই যে গোটা ঘটনা, তা নয়। মহিলা যোগও রয়েছে।