বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পরে এ ভাবেই দর্শকদের বার করে আনে পুলিশ। ছবি: রয়টার্স
ফুটবল বিশ্বকাপের শুরুতেই বিশৃঙ্খলা কাতারে। যেখানে ৪০ হাজার দর্শক ধরে সেখানে পৌঁছে গেলেন ৮০ হাজার দর্শক। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেল পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে কাতার বনাম ইকুয়েডর ম্যাচের আগে। দোহার আলি বিদ্দা পার্কে ‘ফ্যান ফেস্টিভ্যালে’ জড়ো হয়েছিলেন দর্শকরা। সেই পার্কে ৪০ হাজার দর্শকের বসার জায়গা রয়েছে। কিন্তু তার প্রায় দ্বিগুণ দর্শক ঢুকে পড়েছিলেন সেখানে। ফলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। অনেকে মাটিতে পড়ে যান। পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামতে হয় পুলিশকে। ভিতর থেকে দর্শকদের সাবধানে বাইরে বার করে আনতে থাকেন পুলিশকর্মীরা। প্রায় ৪৫ মিনিট পড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বিশ্বকাপের শুরুতেই এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন দর্শকরা। অনেকের সঙ্গে ছোট বাচ্চা ছিল। তাঁরা আরও বেশি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। দর্শকদের অভিযোগ, পার্কের দর্শকাসন অনুযায়ী প্রবেশ করাতে হত আয়োজকদের। কিন্তু শুরুতে তাঁরা কোনও দিকে নজর দেননি। সবাইকে ঢুকতে দিয়েছিলেন। তার ফলেই এই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে এই ধরনের কোনও সমস্যা হত না। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় দর্শকরাও।
ফুটবল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেও বিতর্কে কাতার। তাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ ‘চুরি’র অভিযোগ তুলেছেন ইকুয়েডরের সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রথম ম্যাচে তাঁদের ন্যায্য গোল বাতিল করেছেন রেফারি। আর তার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে। ‘ভার’ (ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি) প্রযুক্তির দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। যদিও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতেছে ইকুয়েডর। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে কাতারকে হারিয়েছে তারা।
বিতর্কের সূত্রপাত খেলার শুরুতেই। আড়াই মিনিটের মাথায় আয়োজক দেশের জালে বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন এন্নার ভ্যালেন্সিয়া। কিন্তু অফসাইডের জন্য সেই গোল বাতিল হয়ে যায়। প্রথমে রেফারি ড্যানিয়েল ওরসাতো গোল দিলেও পরে ভার প্রযুক্তির সাহায্য নেন তিনি। সেখানে রিভিউ দেখে গোল বাতিল করেন। তার পরেই ইকুয়েডরের এক সমর্থককে দেখা যায় কাতারের সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে অঙ্গভঙ্গি করতে। দেখে মনে হচ্ছিল তিনি বোঝাতে চাইছেন, রেফারিকে কত টাকা দিয়ে কিনেছে কাতার। এই অঙ্গভঙ্গি ভাল ভাবে নেননি কাতারের সমর্থকরাও। এক সমর্থক উত্তেজিত হয়ে জবাব দিতে থাকেন। এই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ পেয়েছে নেটমাধ্যমে। কাতারের বিরুদ্ধে রেফারির উপর প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে নেটমাধ্যমেও। তাদের দাবি, চুরি করে ম্যাচ জেতার চেষ্টা করেছিল কাতার। কিন্তু সেটা করতে পারেনি তারা। যদিও রেফারির সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না। ফ্রিকিক নেওয়ার সময় অফসাইডে দাঁড়িয়ে ছিলেন ইকুয়েডরের এক ফুটবলার।