চমৎকার ফুটবল খেলতেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু মহারাজ সোনা ফলালেন ক্রিকেটে। কিংবদন্তি তারকা হয়ে উঠলেন তিনি। এই টেনিস সুন্দরীর গল্পও কিন্তু খানিকটা তেমনই। স্বপ্নের মতো বলা যায়।
ক্রিকেটার হিসাবে বেশ সফল ছিলেন তিনি। ক্রিকেটে বার্টি ডান-হাতি ব্যাটসম্যান, মিডিয়াম পেসারও। বিগ ব্যাশে পর পর দু’টি মরসুম খেলেছেন দু’টি ক্লাবে। ব্রিসবেন হিট এবং কুইন্সল্যান্ড ফায়ারে।
এই তরুণী অ্যাশলে বার্টি। বয়স বাইশ। কুইন্সল্যান্ডের মেয়ে। টেনিস খেলা শুরু করেন চার বছর বয়সে।
জুনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে ২০১১ সালে উইম্বলডনে গার্লস সিঙ্গলস জেতেন। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে দু’নম্বরেও উঠে এসেছিলেন সেই সময়।
সিনিয়র হিসেবে যদিও তাঁর প্রথম সাফল্য আসে ডাবলসে। কেসি ডেলাকুয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের ডাবলসের রানার্স হন। যার মধ্যে অস্ট্রেলীয় ওপেনও ছিল। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৬।
২০১৪ সালের শেষ দিকে বার্টি ঠিক করেন টেনিস থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ছুটি নিয়ে ক্রিকেট খেলবেন। অথচ ক্রিকেটে তাঁর প্রথাগত কোনও প্রশিক্ষণ ছিল না।
মেয়েদের বিগ ব্যাশ লিগ দল ‘ব্রিসবেন হিট’-এ সই করেন তিনি। বছর দু’য়েক পরে ফেরেন টেনিসে। ২০১৬ সালে। পরের বছরই বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম কুড়িতে উঠে আসেন।
গত মরসুমে বার্টি প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম ডাবলস খেতাব জিতেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে। সঙ্গী ছিলেন কোকো ভ্যান্ডেওয়েগে। সেই দৌড় ধরে রেখেই এ বার সিঙ্গলসেও খেলোয়াড় জীবনের সব চেয়ে বড় সাফল্য পেলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সেরা টেনিস তারকা রড লেভার আগেই বলেছিলেন ফরাসি ওপেন জিততে পারেন বার্টি। কিংবদন্তির ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি করলেন বার্টি।
এই বার্টিই সেমিফাইনালে ম্যাচ খুইয়ে খেলা থেকে তিন গেম দূরে ছিলেন এক সময়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমান্ডা আনিসিমোভার বিরুদ্ধে। সেই চ্যালেঞ্জ সামলে জেতেন বার্টি।
রুশ সুন্দরী মারিয়া শারাপোভাকেও হারিয়েছেন বার্টি। মারিয়া শারাপোভা অস্ট্রেলীয় ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে ৬-৪, ১-৬, ৪-৬ হারেন অ্যাশলে বার্টির কাছে।
ক্রিকেট থেকে ২০১৬ সালে যখন তিনি টেনিসে ফিরে আসেন তাঁর বিশ্ব র্যাঙ্কিং ছিল ৬২৩। সেখান থেকে তিন বছরের মধ্যে দু’নম্বরে উঠে আসার অবিশ্বাস্য সাফল্যের পাশাপাশি আরও একটা নামও তাঁর পাশে জুড়ে গেল— ফরাসি ওপেনের নতুন রানি।