আত্মবিশ্বাসী: শুভমনের কাছে দলের স্বার্থই সবার আগে। ফাইল চিত্র
কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম সম্পদ তিনি। ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের তারকা হিসেবেও দেখা হয় তাঁকে। যে কোনও পজিশনে ব্যাট করতে তৈরি। লকডাউনের মধ্যেও নিজের বাড়িতে চালিয়ে গিয়েছেন ট্রেনিং ও অনুশীলন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে আনন্দবাজারকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন শুভমন গিল। ২১ বছর বয়সি কেকেআর ব্যাটসম্যান কথা বললেন অতিমারির কঠিন পরিস্থিতিতে আসন্ন আইপিএলের পরীক্ষা নিয়ে।
প্রশ্ন: গত বার ওপেনও করেছেন, ফিনিশারের ভূমিকাতেও দেখা গিয়েছে। এ বার কোন জায়গায় ব্যাট করতে চাইবেন?
শুভমন: যে কোনও পজিশনে ব্যাট করতে তৈরি। যে কোনও পরিস্থিতিতে নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি। দল যদি চায় আমাকে ওপেন করাতে, আমি রাজি। দল যদি মনে করে, মিডল অর্ডারে আমি বেশি কার্যকরী, তাতেও সমস্যা নেই।
প্র: তা হলে গত বারের মতোই যে কোনও জায়গায় আপনাকে দেখা যেতে পারে?
শুভমন: অবশ্যই। আমি যে কোনও জায়গায় যে সাবলীল, তার আন্দাজ হয়তো গত বছরই পাওয়া গিয়েছে।
প্র: জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকতে হচ্ছে আপনাদের। আগের বছরের মতো বাইরে বেরোনো যাচ্ছে না। কী ভাবে সময় কাটছে?
শুভমন: জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করা হয়েছে বলেই আইপিএল খেলতে পারছি। না হলে এ বছর হয়তো আর ক্রিকেটই হত না। কিছুটা সমস্যা তো হচ্ছেই। আগের বারের মতো ঘোরাফেরা করা যাচ্ছে না। তবে আমাদের চাপমুক্ত রাখার জন্য টিম রুম বানানো হয়েছে। বেশ কিছু ইন্ডোর গেমসের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে। টেবল টেনিস, বিলিয়ার্ডস বোর্ড রয়েছে। আমরা সবাই গিয়ে টিমরুমে সে সব খেলে ভালই সময় কাটাতে পারি।
আরও পড়ুন: নাইটদের নতুন ফিনিশার হতেও তৈরি মর্গ্যান
প্র: অনেকেই বলছেন, বলয়ের মধ্যে এক টানা থাকলে অবসাদ গ্রাস করছে। আপনার কী মত?
শুভমন: সবটাই নিজেদের উপরে নির্ভর করে। এই পরিস্থিতিতে মানসিক ভাবে আরও শক্তিশালী থাকতে হবে আমাদের। নিজেদের ব্যস্ত রাখার উপায় খুঁজে বার করে নিতে হবে।
প্র: লকডাউনের মধ্যেও আপনাকে অনুশীলন করতে দেখা গিয়েছে। বাড়িতে ট্রেনিংও করেছেন। আমিরশাহিতে গিয়ে সেই প্রস্তুতির কোনও বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন?
শুভমন: অবশ্যই পাচ্ছি। আমিরশাহি আসার আগে বাড়িতে ফিজিক্যাল ট্রেনিং করেছি। শেষ দু’সপ্তাহ নেট করার সুযোগ পেয়েছি। পাঁচ মাসের হারানো ছন্দ সেখানেই ফিরে পেয়েছি। এখানে এসে তাই আত্মবিশ্বাসী রয়েছি।
আরও পড়ুন: কলকাতার গর্জন চান শাহরুখ
প্র: নেট প্র্যাক্টিসের চেয়েও বেশি ম্যাচ পরিস্থিতি তৈরি করে প্র্যাক্টিস করছেন আপনারা। কতটা সাহায্য করবে এ ধরনের অনুশীলন?
শুভমন: ব্যক্তিগত মতামত দিচ্ছি। আমি মনে করি, নেট প্র্যাক্টিসের চেয়ে এ ধরনের ম্যাচ পরিস্থিতি তৈরি করে প্র্যাক্টিস করা অনেক বেশি সাহায্য করবে। ম্যাচে কখন কী হবে, কেউ জানি না। সব রকম পরিস্থিতির জন্য নিজেকে তৈরি রাখতেই এই অনুশীলন। কোনও কোনও দিন ফিনিশারের ভূমিকায় নামছি। দেখে নেওয়া হচ্ছে সেই ভূমিকায় আমি কতটা সাবলীল। হয়তো বলে দেওয়া হচ্ছে, চার ওভারে ৫১ রান করতে হবে। হাতে দুই উইকেট। এ বার কী ভাবে সেই জায়গা থেকে ম্যাচ জেতাবে, তা পুরোটাই তোমার উপরে। এ ধরনের প্র্যাক্টিস ম্যাচের জন্য দারুণ ভাবে তৈরি করে দিচ্ছে।
প্র: শেষ দু’বছর কাছে গিয়েও ট্রফি আসেনি। এ বছর কতটা আশাবাদী?
শুভমন: শেষ দু’বছরের কথা ভুলে গিয়ে নতুন করে শুরু করতে চাই। এ বছর আমাদের দলের কম্বিনেশন খুব ভাল। তরুণ ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মিশ্রণ রয়েছে। মর্গ্যান, কামিন্সের মতো তারকা আছে। তাদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ব্যবহার করতে পারা স্বপ্ন সফল হওয়ার মতো। যদি আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারি, তা হলে এ বার ট্রফি যাচ্ছে কলকাতাতেই।