পরিবর্তিত লোগো।—ফাইল চিত্র।
আই লিগে ক্লাবের ফল নিয়ে চূড়ান্ত হতাশা ইস্টবেঙ্গলে। একের পর এক ম্যাচে হারছে দল। বৃহস্পতিবার ম্যাচ লিগ টেবলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে। ১১ দলের লিগে দশ নম্বরে রয়েছেন খাইমে সান্তোস কোলাদোরা। মার্তি ক্রেসপিকে ছেঁটে ফেলার পরে পাঁচ জনের বেশি বিদেশি নেই মারিয়ো রিভেরার দলে।
এই আবহে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুটবল দলের লোগো বদল নিয়ে সংঘাত আরও তীব্র হল ক্লাব কর্তাদের। ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যে লোগো ক্লাবের সম্পত্তি সেটা ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানি কী ভাবে ব্যবহার করল? প্রতিবাদ জানিয়ে এ জন্য চিঠিও দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন, ক্লাবের শীর্ষ কর্তা।
৩১ মে পর্যন্ত বিনিয়োকারীদের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে লাল-হলুদের। তা সত্ত্বেও লোগো থেকে বিনিয়োগকারীরা নিজেদের নাম বাদ দিয়েছে। তবে আই লিগের বাকি দশটি ম্যাচে আনসুমানা ক্রোমার জার্সির লোগোতে বিনিয়োগকারীদের নাম থাকছে। বিনিয়োগকারীদের পক্ষে সঞ্জিত সেন বলে দিলেন, ‘‘জার্সিতে আমাদের কোম্পানির লোগো থাকছে। আগের মতোই। ৩১ মে পর্যন্ত থাকবে।’’ এই চাপান-উতোরের মধ্যেই ক্রেসপির জায়গায় কোন স্পেনীয় মিডিয়োকে নেওয়া হবে, তা ঠিক করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। কারণ ক্রেসপির সঙ্গে আর্থিক চুক্তি নিয়ে সমঝোতা হয়নি।
এটিকের সঙ্গে মোহনবাগান গাঁটছড়া বাঁধার পরে তাদের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে সবুজ-মেরুনের খেলার ব্যাপারটি পাকা। কিন্তু কী করবে ইস্টবেঙ্গল? লাল-হলুদ কর্তারা এখনও স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না, তাঁরা পরের মরসুমে দেশের এক নম্বর লিগে খেলবেনই। ক্লাবের শীর্ষ কর্তা বলে দিয়েছেন, ‘‘কথাবার্তা এগোচ্ছে। সব কিছু চূড়ান্ত হলে তা জানানো হবে।’’
ফেডারেশনের সভা: মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল পরের মরসুমে আইএসএলে খেললে তাদের জায়গায় আই লিগে নতুন দল নেওয়ার প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে ফেলল ফেডারেশনের আই লিগ কমিটি। এ দিন দিল্লির ফুটবল হাউসে কমিটির সভায় ঠিক হল, কর্পোরেট দল নেওয়া হবে আই লিগে। কিন্তু যে হেতু এখনও লাল-হলুদ পরের মরসুমে কোথায় খেলবে তা চূড়ান্ত হয়নি, তাই ক’টি দলকে নেওয়া হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি ফেডারেশন কর্তারা। মরসুমের শেষে নতুন দলের সংখ্যা ঠিক হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগ থেকে দুটি দলকে প্রথম ডিভিশনে নেওয়ার প্রস্তাবও উঠেছে কমিটির সভায়।