ছবি আইএসএল।
এটিকে-র সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আগামী মরসুমে আইএসএলে খেলবে মোহনবাগান। নতুন দলের নাম, জার্সির নকশা ও প্রতীকও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।
ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যৎ কী? কলকাতার আর এক প্রধানের মতো তারাও কি দেশের সর্বোচ্চ লিগে অংশ নিতে পারবে? বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে বিচ্ছেদ কবে হবে? নতুন স্পনসরই বা কবে আসবে, যাদের হাত ধরে আইএসএলে খেলবে ইস্টবেঙ্গল। করোনা-আতঙ্কের আবহে এই নিয়েই উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে লাল-হলুদ জনতার।
ইস্টবেঙ্গল কর্তারা অবশ্য আশাবাদী আইএসএলে খেলার ব্যাপারে। তাঁদের একমাত্র ভরসা এখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাসবাণী। লাল-হলুদ শিবিরের কর্তাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক বার আলোচনা হয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে ইস্টবেঙ্গলকে সব রকমের সাহায্য করার আশ্বাসও নাকি দেওয়া হয়েছে। লাল-হলুদ শিবিরের কর্তাদের দাবি, এই ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে কথাবার্তাও প্রায় চূড়ান্ত। বৃহস্পতিবার বিকেলেও ক্লাবের এক শীর্ষ কর্তা নবান্নে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে। সেই আলোচনা যথেষ্ট ফলপ্রসু বলে জানিয়েছেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহলের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, কলকাতার তিন প্রধান ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মহমেডান ভারতের গৌরব। তাই সরকারের উচিত তিন প্রধানকে সব রকম ভাবে সাহায্য করা। বিরোধী দলের প্রতিনিধিরাও সমর্থন করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
প্রশ্ন উঠছে কী ভাবে ইস্টবেঙ্গলকে সাহায্য করবে রাজ্য সরকার? ওড়িশা সরকার ফুটবলের প্রসারের জন্য দিল্লি ডায়নামোজ এফসি-কে নিজেদের রাজ্যে নিয়ে এসেছে নানা রকম সুযোগ-সুবিধে দিয়ে। গত মরসুম থেকে আইএসএলে নাম বদলে ওড়িশা এফসি নামে খেলছে তারা। ইস্টবেঙ্গলকেও কি একই ভাবে সাহায্য করবে রাজ্য সরকার? ক্লাব কর্তারা জানালেন, সরাসরি সাহায্য করতে পারে সরকার। অথবা নতুন কোনও বিনিয়োগকারী খুঁজে দিতে পারে। সেই বিনিয়োগকারী কি সালিম গোষ্ঠী? কার্যকরী কমিটির বৈঠকে বসার চব্বিশ ঘণ্টা আগে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা বলছেন, ‘‘লগ্নিকারী খোঁজার দায়িত্ব বেশ কয়েকটি সংস্থাকে আমরা দিয়েছি। ওরা সালিম গোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলেছে কি না জানি না। আমাদের সঙ্গে কোনও কথা এখনও পর্যন্ত হয়নি।’’
নতুন কোনও সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গলের প্রধান সমস্যা বর্তমান বিনিয়োগকারীর সঙ্গে বিচ্ছেদ সম্পূর্ণ না হওয়ায়। যদিও বেঙ্গালুরু থেকে সংস্থার চেয়ারম্যান জানালেন, শীঘ্রই ইস্টবেঙ্গলকে ‘স্পোর্টিং রাইটস’ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এই পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যৎ কী, তা সময়ই বলবে।