দ্যুতি চন্দ।—ফাইল চিত্র।
টোকিয়ো অলিম্পিক্সের প্রস্তুতির জন্য দ্যুতি চন্দকে ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে বলে পাল্টা বিবৃতি দিয়ে জানাল ওড়িশা সরকার। দ্যুতির আর্থিক অনটন নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠার মধ্যে সরকারের পক্ষে বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে, কখন কী রকম সাহায্য করা হয়েছে।
যা শোনার পরে দ্যুতির প্রতিক্রিয়া, ‘‘সরকারের এই পদক্ষেপে মর্মাহত হলাম। ওরা যে টাকার অঙ্কের কথা বলেছে, তা সব ক্ষেত্রে ঠিক নয়। আমার বন্ধু পি ভি সিন্ধুকে ওর রাজ্য এর চেয়েও বেশি আর্থিক সাহায্য করেছিল। এ ভাবে প্রকাশ্যে কেউ বলে?’’ আর্থিক সমস্যার কথা জানিয়ে টোকিয়ো অলিম্পিক্সের প্রস্তুতির জন্য গত সপ্তাহেই তাঁর বিএমডব্লিউ গাড়ি বিক্রি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন গত এশিয়ান গেমসে ১০০ ও ২০০ মিটারে রুপোজয়ী অ্যাথলিট। তার পরেই বিবৃতি পাল্টে তিনি বলেন, ‘‘গাড়ি বিক্রি করছি না।’’
এ দিন ওড়িশা সরকারের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ বিভাগ বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘‘২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত দ্যুতিকে ৪.০৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ৩ কোটি টাকা এশিয়ান গেমসে জোড়া পদকের জন্য। ২০১৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত প্রস্তুতি এবং আর্থিক সাহায্যের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। টোকিয়ো অলিম্পিক্সের প্রস্তুতির জন্যও ৫০ লক্ষ টাকা দুই কিস্তিতে দেওয়া হয়েছে।’’ এ ছাড়াও বলা হয়েছে, ‘‘ওড়িশা মাইনিং কর্পোরেশনের (ওএমসি)প্রথম সারির আধিকারিক দ্যুতি মাসে ৮৪,৬০৪ টাকা বেতন পান। ওএমসি তাঁকে আরও ২৯ লক্ষ টাকা প্রস্তুতি ও ইনসেনটিভ হিসেবে দিয়েছে।’’
দ্যুতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, ‘‘ওরা গত জুলাইয়ে যে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছিল তা এক বছরের জন্য। মাসে কোচ, ফিজিয়ো রেখে অনুশীলন করতে চার লক্ষ টাকা খরচ। এখন সেই টাকা শেষ।’’