আসন্ন তিন ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী ইগর স্তিমাচের ছেলেরা। ছবি - এ আইএফএফ।
২০২২ সালের বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করা সম্ভব নয়। তবে জোটবদ্ধ হয়ে চেষ্টা করলে ২০২৩ সালে চিনে আয়োজিত এএফসি এশিয়ান কাপে খেলা সম্ভব। সেটা ইগর স্তিমাচের ছেলেরা বুঝে গিয়েছে। আর তাই খারাপ ফলের অতীতকে মনে না রেখে সামনের দিকে এগোতে চাইছেন গুরপ্রীত সিংহ সান্ধু, প্রীতম কোটাল, মনবীর সিংহরা।
যোগ্যতা অর্জন পর্বে ভারতের বাকি তিন ম্যাচ কাতার (৩ জুন), বাংলাদেশ (৭ জুন) ও আফগানিস্তান (১৫ জুন)-এর বিরুদ্ধে। সেই জন্য দোহায় পা রেখে জৈব বলয়ের মধ্যে থাকলেও অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় দল। করোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করে প্রায় ১৬ মাস পরে আবার আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেছেন সুনীল ছেত্রীরা। তবুও বারবার দুবাইয়ের প্রসঙ্গ চলেই আসে। সেখানে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ফিফা প্রীতি ম্যাচে ভারতের ফল মোটেও ভাল ছিল না। ওমানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করলেও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কাছে ০-৬ গোলে হেরে যায় স্তিমাচের ছেলেরা। যদিও আসন্ন তিন ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী ‘ব্লু টাইগার্স’।
গুরপ্রীত সিংহ সান্ধু: অতীত নিয়ে বেশি ভাবতে বসলে তো সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। গত ম্যাচগুলোতে আমরা কোথায় ভুল করেছিলাম সেটা নিয়ে আলোচনা করছি। আসন্ন তিন ম্যাচ আমরা গোল হজম না করে মাঠ ছাড়তে পারলে অনেক হিসেব বদলে যাবে। তাই সেটা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা উচিত।
প্রীতম কোটাল: দুবাই ও দোহাকে একসূত্রে মিলিয়ে ফেলা হলে ভুল হবে। দুবাইতে আমরা দুটো আলাদা দলের বিরুদ্ধে খেলেছিলাম। ১৬ মাস পরে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরে ম্যাচ খেলা মোটেও সহজ ছিল না। তবে আমার মনে হয় জুন মাসে আমাদের দল অনেক ভাল ফুটবল খেলবে।
মনবীর সিংহ: দুবাইয়ে আমরা হারলেও আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা মন্দ নয়। ওমানের বিরুদ্ধে আমার গোলে দল সমতা ফিরিয়েছিল। তাই মিশ্র অভিজ্ঞতা বলা চলে। খেলায় হারলে অবশ্যই খারাপ লাগে। কিন্তু একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেললে অনেক কিছু শেখা যায়। সেই শিক্ষা নিয়ে আগামী তিন ম্যাচ খেলতে নামব।