সেরিনা উইলিয়ামস। ফাইল ছবি।
প্রায় এক বছর পর কোর্টে ফিরেছেন। ওয়াইল্ড কার্ড পেয়েছেন উইম্বলডনের। আবার কোর্টে ফিরতে পেরে খুশি সেরিনা উইলিয়ামস। খুশি হলেও উইম্বলডনে কেমন পারফরম্যান্স করবেন তা নিয়ে কিছুটা সংশয়ে রয়েছেন বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর।
২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাবের সাতটিই সেরিনা জিতেছেন অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাবের কোর্টে। কেমন হতে পারে পারফরম্যান্স? প্রতিযোগিতা শুরুর আগে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি জানি না। এখনও অবসর ঘোষণা করিনি। আমাকে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে মানিয়ে নিতে হবে। সত্যি বলতে এ বারের উইম্বলডন নিয়ে আমার কোনও পরিকল্পনা নেই। শুধু জানতাম কবে নাগাদ কোর্টে ফিরতে পারব। কী অবস্থায় ফিরব জানতাম না।’’
সেরিনা আরও বলেছেন, ‘‘গত বছর খুব খারাপ কেটেছে। হ্যামস্ট্রিং বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কেউ চায় না এমন চোট লাগুক। ভীষণ খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে।’’ খানিকটা হতাশার সুরে বলেছেন, ‘‘এতগুলো দিন র্যাকেট ছাড়া কাটাতে হবে কখনও ভাবিনি। একটা সময় খুব ক্লান্ত লাগছিল। দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য সব কিছু করেছি। প্রতি দিন উঠে দাঁড়াতে চেষ্টা করতাম। কিন্তু পারতাম না। চোটটা খুব গুরুতর ছিল। বেশ ভুগিয়েছে আমাকে। একটুও মজা করছি না।’’
এক বছর না খেলায় ডব্লুটিএ ক্রমতালিকায় ১২০৪ নম্বরে নেমে গিয়েছেন সেরিনা। তা নিয়ে ভাবছেন না। উইম্বলডনের প্রস্তুতি হিসাবে ইস্টবার্নের প্রতিযোগিতার ডাবলস খেলেছেন। উইম্বলডনের কোর্টে নামার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছেন না। গত বছর এই উইম্বলডনের প্রথম রাউন্ডেই চোট পেয়ে কোর্ট থেকে ছিটকে যান।
সেরিনা বলেছেন, ‘‘উইম্বলডন একটা দুর্দান্ত ব্যাপার। যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইস্টবার্নে খেললাম। সিঙ্গলস খেলার মতো জায়গায় ছিলাম না। তাই ডাবলস খেলে বুঝে নিতে চেয়েছি কতটা পারছি। কোর্টে নামার পর মনে হয়েছে, সিঙ্গলসও খেলতে পারতাম।’’ উল্লেখ্য, বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যামের প্রথম রাউন্ডে তাঁর প্রতিপক্ষ ফ্রান্সের হারমনি ট্যান।