Abhishek Banerjee

অভিষেকের নামে পাঁচ লাখ চাওয়া ধৃতেরা এমএলএ হস্টেলে ছিলেন! রিপোর্ট তলব করলেন স্পিকার

পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছিল, ধৃত তিন জন এমএলএ হস্টেলের যে ঘরে ছিলেন, সেই ঘরটি কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জনের নামে বুক করা ছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৩৮
Share:

(বাঁ দিকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তোলাবাজির অভিযোগে বৃহস্পতিবার এমএলএ হস্টেল থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই ঘটনায় এমএলএ হস্টেলের সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, গোটা ঘটনায় পুলিশের কাছেও রিপোর্ট তলব করা হবে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছিল, ধৃত তিন জন এমএলএ হস্টেলের যে ঘরে ছিলেন, সেই ঘরটি কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জনের নামে বুক করা ছিল। সে প্রসঙ্গে বিমান বলেন, ‘‘এক জন বিজেপি বিধায়কের সুপারিশে ঘর দেওয়া হয়েছিল বলে আমাদের এমএলএ হস্টেলের অফিশিয়াল রেকর্ড থেকে জেনেছি। যাঁকে ঘর দেওয়া হয়েছিল, তাঁর নাম-আধার কার্ড নম্বর সব রেকর্ড করা হয়েছে। কেউ যদি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এমএলএ হস্টেলে ঢুকে থাকে, তা হলে আইন অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।’’

নিখিল অবশ্য বৃহস্পতিবারই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘হস্টেলের ঘর বুক করতে হয় বিধায়কের লেটারহেডে। আমি এ রকম কাউকে কোনও লেটারহেড দিইনি। হস্টেলের ঘর কী ভাবে বুক হল সেটা হস্টেল সুপার বলতে পারবেন। এটা আমার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত। তৃণমূল তো নিজেই তোলাবাজি করে। আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’’

Advertisement

অভিষেকের নাম করে পূর্ব বর্ধমানের কালনার পুরপ্রধান আনন্দ দত্তকে হুমকি এবং তাঁর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হয়েছেন তিন জন। ধৃতদের নাম ধৃতদের নাম জুনায়েদুল হক চৌধুরী, শুভদীপ মালিক এবং শেখ তসলিম। তিন জনই হুগলির বাসিন্দা। কলকাতায় এমএলএ হস্টেল থেকে তাঁদের পাকড়াও করেছিল শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ।

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু ভুয়ো নথি দেখিয়ে আনন্দের কাছ থেকে ধাপে ধাপে টাকা চাওয়া হয়েছিল। পুরপ্রধান থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করতেই তদন্তে নামে পুলিশ। সেই মতো ফাঁদও পাতা হয়। বৃহস্পতিবার এমএলএ হস্টেলে অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন পুরপ্রধান। সঙ্গে ছিলেন শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ আধিকারিকেরাও। এর পর এমএলএ হস্টেল থেকেই তিন জনকে পাকড়াও করে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement