অভিষেকেই দ্বিশতরান করলেন মেয়ার্স। ছবি টুইটার
বাংলাদেশকে দুই টেস্টের সিরিজের প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটে হারিয়ে দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ানদের একার ক্ষমতায় জেতালেন কাইল মেয়ার্স। অভিষেক টেস্টে অপরাজিত ২১০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে জেতার জন্য ৩৯৫ রানের লক্ষ্য রাখে বাংলাদেশ। ৫৯ রানে ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। পাঁচ নম্বরে নামেন মেয়ার্স। তাঁর ৩১০ বলের ইনিংসে ২০টি চার, ৭টি ছয় রয়েছে। মাত্র ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেক টেস্টে দ্বিশতরান করেন মেয়ার্স। এর আগে ইংল্যান্ডের টিপ ফস্টার (২৮৭, বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া), ওয়েস্ট ইন্ডিজের লরেন্স রো (২১৪, বিপক্ষ নিউজিল্যান্ড), শ্রীলঙ্কার ব্রেন্ডন কুরুপ্পু (অপরাজিত ২০১, বিপক্ষ নিউজিল্যান্ড), নিউজিল্যান্ডের ম্যাথু সিনক্লেয়ার (২১৪, বিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ), দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক রুডলফ (অপরাজিত ২২২, বিপক্ষ বাংলাদেশ) অভিষেক টেস্টে দ্বিশতরান করেছিলেন।
মেয়ার্সের রেকর্ডের এখানেই শেষ নয়। ষষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে দ্বিশতরান করেন। এই নজির আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জর্জ হেডলি (২২৩, বিপক্ষ ইংল্যান্ড), নিউজিল্যান্ডের নাথন অ্যাস্টেল (২২২, বিপক্ষ ইংল্যান্ড), ভারতের সুনীল গাওস্কর (২২১, বিপক্ষ ইংল্যান্ড), ইংল্যান্ডের বিল এডরিচ (২১৯, বিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা), ওয়েস্ট ইন্ডিজের গর্ডন গ্রিনিজের (অপরাজিত ২১৪, বিপক্ষ ইংল্যান্ড)।
মেয়ার্সের এই কীর্তির পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর জিততে সমস্যা হয়নি। নাকরুমা বনার ৮৬ রান করে যোগ্য সঙ্গত দেন মেয়ার্সকে। দুজনে চতুর্থ উইকেটে ২১৬ রান যোগ করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩৯৫ রান তাড়া করে জেতা টেস্টে পঞ্চম বৃহত্তম, ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় বৃহত্তম। এশিয়ার মাটিতে চতুর্থ ইনিংসে ৩৯৫ রান তাড়া করে জয় আগে কখনও হয়নি।
শেষ দিন ৩ উইকেটে ১১০ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বনার ১৫ ও মেয়ার্স ৩৭ রানে উইকেটে ছিলেন। বাংলাদেশের কোনও বোলারই দাগ কাটতে পারেননি। বনারকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। ব্ল্যাকউডও (৯) দ্রুত ফিরে যান। কিন্তু মেয়ার্স শেষ পর্যন্ত থাকায় অনায়াসে জিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের মেহেদি হাসান মিরাজ ৪টি, তাইজুল ইসলাম ২টি উইকেট নেন।