মুলতানের সেই টেস্ট ভারত জেতে ইনিংস এবং ৫২ রানে। সেই সিরিজে যুবরাজ একটি শতরান এবং অর্ধশতরান-সহ মোট ২৩০ রান করেন। সেই সিরিজে ভাল খেললেও যুবরাজ ৪০টির বেশি টেস্ট খেলেননি। ১৯০০ রান করেন তিনি লাল বলের ক্রিকেটে। ২০১২ সালের পর আর ভারতের হয়ে সাদা জার্সিতে দেখা যায়নি যুবরাজকে।
সচিনের দুশো করতে বাকি ছিল মাত্র ৬ রান। —ফাইল চিত্র
ফের পুরনো বিতর্ক উস্কে দিলেন যুবরাজ সিংহ। বর্তমানে ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় ২০০৪ সালে ছিলেন অধিনায়ক। সেই সময় একটি টেস্টে সচিন তেন্ডুলকর ১৯৪ রানে অপরাজিত অবস্থায় ডিক্লেয়ার ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেই ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিয়ে যুবরাজ জানালেন সচিনকে দ্বিশতরান করতে দেওয়া উচিত ছিল।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুলতানের মাঠে ভারত ৬৫৭ রানে ডিক্লেয়ার করে। সেই সময় ক্রিজে ছিলেন যুবরাজ সিংহ এবং সচিন। ১৯৪ রানে অপরাজিত ছিলেন সচিন। যুবরাজ অর্ধশতরান করেছিলেন। এমন সময় দুই ব্যাটারকে সাজঘরে ডেকে নেন দ্রাবিড়। সেই ঘটনা নিয়ে যুবরাজ বলেন, “আমরা বার্তা পেয়েছিলাম তাড়াতাড়ি রান করার। কারণ ডিক্লেয়ার করা হবে। আর দু’ওভার খেললেই হয়তো ৬ রান করে ফেলত সচিন। ওটা যদি তৃতীয় বা চতুর্থ দিনের খেলা হত তা হলে আলাদা ব্যাপার। সে দিন আমরা ৮-১০ ওভার বল করেছিলাম। আমার মনে হয় সচিনকে দুশো রান করতে দেওয়া উচিত ছিল।”
মুলতানের সেই টেস্ট ভারত জেতে ইনিংস এবং ৫২ রানে। সেই সিরিজে যুবরাজ একটি শতরান এবং অর্ধশতরান-সহ মোট ২৩০ রান করেন। সেই সিরিজে ভাল খেললেও যুবরাজ ৪০টির বেশি টেস্ট খেলেননি। ১৯০০ রান করেন তিনি লাল বলের ক্রিকেটে। ২০১২ সালের পর আর ভারতের হয়ে সাদা জার্সিতে দেখা যায়নি যুবরাজকে।
যুবরাজ বলেন, “দাদা (সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়) অবসর নেওয়ার পর আমি টেস্ট খেলার সুযোগ পাই। কিন্তু সেই সময় আমার ক্যানসার ধরা পরে। আমার দুর্ভাগ্য। আমি চেয়েছিলাম ১০০ টেস্ট খেলতে, জোরে বোলারদের বিরুদ্ধে খেলতে, দু’দিন ধরে ব্যাট করতে। নিজের সবটুকু দিয়েছিলাম, কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না।”