শেষ উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়লেন শিখারা। —ফাইল চিত্র
৭৯ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালসকে লড়াইয়ে ফেরালেন শিখা পাণ্ডে এবং রাধা যাদব। শেষ উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়লেন তাঁরা। মেয়েদের আইপিএলের ফাইনালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সামনে ১৩২ রানের লক্ষ্য রাখল দিল্লি।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। কিন্তু তিনি ছাড়া কোনও ব্যাটারই ক্রিজে দাঁড়াতে পারছিলেন না। ৩৫ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় দিল্লি। ইসি ওয়ং একাই তিন উইকেট তুলে চাপে ফেলে দেন তাঁদের। কিন্তু ল্যানিং লড়াই চালিয়ে যান। তিনি ২৯ বলে ৩৫ রান করেন। তিনি যখন আউট হন তখন দিল্লির স্কোর ৭৪/৫। এর পরেই দিল্লির ব্যাটিং হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে। হিলি ম্যাথুজ় চার ওভারে পাঁচ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন। দিল্লির স্কোর হয়ে যায় ৭৯/৯। সেই সঙ্গে বেগনি রঙের টুপিও নিশ্চিত করে ফেলেন ম্যাথুজ়।
সেই সময় মনে হয়েছিল দিল্লি হয়তো উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ফাইনালে ১০০ রানও তুলতে পারবে না। কিন্তু ভারতের দুই বোলার শিখা পাণ্ডে এবং রাধা যাদব অন্য রকম ভাবছিলেন। তাঁদের হাতে ছিল ব্যাট। দিল্লির শেষ উইকেটে তাঁরাই তুললেন ৫২ রান। শিখা ১৭ বলে ২৭ রান করেন এবং রাধা ১২ বলে ২৭ রান করেন। ২০ ওভার খেলে দিল্লি। তোলে ১৩১ রান। কিছুটা লড়াই করার মতো জমি তৈরি করেন তাঁরা।
বাংলার মেয়ে সাইকা ইশাক মুম্বইয়ের হয়ে খেলছিলেন। তাঁর কাছেও সুযোগ ছিল বেগনি টুপি জেতার। কিন্তু চার ওভারে ২৮ রান দেন তিনি। কোনও উইকেটই তুলতে পারেননি। ফাইনালে দু’টি উইকেট নিতে পারলেই মেয়েদের প্রথম আইপিএলে সব থেকে বেশি উইকেটের মালকিন হতে পারতেন তিনি। কিন্তু সাইকা থেমে গেলেন ১৫টি উইকেট নিয়েই। ম্যাচ শুরুর আগে তিনি বলেন, “বেগনি টুপি চাই না। ট্রফি চাই। ওটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখনও অনেক উন্নতি করতে হবে আমায়। এটা তো সবে শুরু। আগে কী ভাবে এগোব সেটাই ভাবছি।”