অসুস্থ হয়েও ভাল খেললেন রিচা ঘোষ। —ফাইল চিত্র
কোনও রকমে ফিজিয়োকে ধরে ধরে মাঠের বাইরে গিয়েছিলেন। দেখে মনে হচ্ছিল আর মাঠে নামতে পারবেন না। কিন্তু তিনি ফিরলেন। শুধু ফিরলেন না, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুরন্ত ইনিংস খেললেন। এক সময় মনে হচ্ছিল, একাই ম্যাচ জিতিয়ে দেবেন। পারলেন না। কিন্তু তার পরেও সমীহ জাগালেন বাংলার ১৯ বছরের রিচা ঘোষ।
এ বছর মহিলাদের এশিয়া কাপের সব খেলা হচ্ছে বাংলাদেশের সিলেটে। দিনের বেলা খেলা হওয়ায় প্রখর রোদের মধ্যেই খেলতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। পাকিস্তান ইনিংসের ১২ ওভারের পরে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন রিচা। মাঠেই তাঁর চিকিৎসা হয়। গলায়, ঘাড়ে তোয়ালে দিয়ে কিছু ক্ষণ তাঁকে বসিয়ে রাখেন দলের ফিজিয়ো। তার পরে তাঁকে নিয়ে উঠে যান তিনি। যত দূর জানা গিয়েছিল, সানস্ট্রোক হয়েছিল রিচার। তিনি উঠে গেলে তাঁর বদলে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব সামলান শেফালি বর্মা।
অবশ্য মাঠ ছেড়ে উঠে যাওয়ার আগে উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে সিদরা আমিনের ক্যাচ ধরেন রিচা। মুনিবা আলিকে দুরন্ত স্টাম্পও করেন তিনি।
রিচা ব্যাট করতে নামতে পারবেন কি না সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি ম্যানেজমেন্টের তরফে। কিন্তু রান তাড়া করার সময় ভারতীয় দলের ব্যাটিং লাইন আপে দেখা যাচ্ছিল রিচার নাম। শেষে দেখা যায়, আট নম্বরে ব্যাট করতে নামছেন তিনি। তখন ম্যাচে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল ভারত। রিচা নামার পরে আউট হয়ে যান অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরও।
সেখান থেকে জ্বলে উঠলেন রিচা। একের পর এক বড় শট মারা শুরু করলেন তিনি। সহজেই বাউন্ডারির বাইরে বল ফেলছিলেন তিনি। দেখে মনে হচ্ছিল, ম্যাচ বার করে দেবেন রিচা। কিন্তু ১৯তম ওভারে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। ১৩ বলে ২৬ রান করেন রিচা। মারেন একটি চার ও তিনটি ছক্কা। তিনি আউট হতেই ভারতের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়।