হার্দিক পাণ্ড্য। — ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশ ম্যাচে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন। কবে ফিরতে পারেন, তা নিয়ে প্রতিনিয়তই জল্পনা চলছিল। কিন্তু ক্রিকেট সমর্থকদের দুঃস্বপ্ন সত্যি করে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্য। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) বল করা শুরু করেছিলেন। তার পরেও কেন ছিটকে যেতে হল হার্দিককে? উত্তর দিলেন বোর্ডেরই এক কর্তা।
সংবাদ সংস্থাকে বোর্ডের ওই কর্তা বলেছেন, “আগেই বলা হয়েছিল হার্দিকের হাড়ে কোনও চিড় ধরেনি। স্রেফ সামান্য পেশি ছিঁড়েছে। বেশ কিছু দিন আগেই ও অনুশীলন শুরু করে দিয়েছিল। কিন্তু ওর বাঁ পায়ের গোড়ালি হঠাৎ করেই ফুলে যায়। তার পর থেকে আর বল করতে পারেনি। পরের দিকে বল করতে পারবে বলেও মনে হচ্ছিল না।”
তাঁর সংযোজন, “এটা এমন কোনও চোট নয় যে ইঞ্জেকশন দিলেই চট করে সেরে যাবে। এই চোট নিয়ে সাবধানে এগোতে হবে। বৃহস্পতিবার থেকে ওর পা ফুলতে শুরু করছে। যত ক্ষণ না সেটা কমবে, তত ক্ষণ অনুশীলন করতে পারবে না।” নতুন করে পা ফোলার পর থেকেই বোঝা গিয়েছিল, বিশ্বকাপের পরের দিকেও হার্দিকের পক্ষে আর খেলা সম্ভব নয়। কারণ এই চোট সারতে সময় লাগবে। ঠিক কত দিন, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
শনিবার সকালে হার্দিক সমাজমাধ্যমে লেখেন, “ভাবতেই পারছি না যে আমি আর এ বারের বিশ্বকাপে খেলতে পারব না। তবে আমি দলের পাশে আছি। প্রতিটা ম্যাচে, প্রতিটা বলের জন্য গলা ফাটাব। সবাই আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন। সকলকে ধন্যবাদ। এই দলটা সকলকে গর্বিত করার ক্ষমতা রাখে। আমার তরফে ভালবাসা রইল।”
বাংলাদেশ ম্যাচের নবম ওভারে বল করার সময় চোট পেয়েছিলেন হার্দিক। তাঁর বলে স্ট্রেট ড্রাইভ মেরেছিলেন লিটন দাস। সেই বল পা দিয়ে আটকাতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন হার্দিক। তাঁর পায়ের উপর পুরো শরীরের ওজন পড়ে গিয়েছিল। তাতেই চোট লাগে ভারতীয় অলরাউন্ডারের। সেই ম্যাচে আর বল করতে পারেননি তিনি। সেই সময় ওভারের তিনটি বল বাকি ছিল। বিরাট ওই তিনটি বল করেছিলেন।