স্যাম কনস্টাস। ছবি: সমাজমাধ্যম।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মাত্র পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে ১৯১ রান করেছেন। সেই স্যাম কনস্টাসকে ভারতের বিরুদ্ধে দলে নিল অস্ট্রেলিয়া ‘এ’। আগামী দিনের প্রতিভা হিসাবে বিচার করা হচ্ছে কনস্টাসকে। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেফিল্ড শিল্ডে দু’টি শতরান করার পরেই ডাক পেয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে কিছু বড় নামের সঙ্গে এখনই তাঁর তুলনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারত সিরিজ়ে কে ডেভিড ওয়ার্নারের জায়গা পূরণ করবেন তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এই পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক প্রধান জর্জ বেইলি যে তিন জনের নাম করেছেন তাঁর একজন কনস্টাস।
কনস্টাসের প্রশংসা করেছেন খোদ দু’বারের বিশ্বকাপজয়ী রিকি পন্টিং। তিনি বলেছেন, “আমার ক্রিকেটজীবনে গোটা দুয়েক ক্রিকেটারকে দেখে ‘ছোট আকারের দৈত্য’ বলে মনে হয়েছে। কনস্টাসের প্রতিভাও সে রকম।” বেইলি বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়া এ দলে যাদের নির্বাচিত করা হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকের ক্ষমতা রয়েছে আগামী দিনে টেস্টের দলে আসার।”
শেফিল্ড শিল্ডে কনস্টাসের ইনিংস প্রশংসিত হয়েছে। প্রথম ইনিংসে তিনি ১৫২ রান করেছিলেন, যা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর প্রথম শতরান। দ্বিতীয় ইনিংসে আবার শতরান করেন। নিউ সাউথ ওয়েলসকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেন। সেই ম্যাচে ২৫৭ রান করেন কনস্টাস। ২০ বছরের নীচে কোনও ক্রিকেটার শেফিল্ড শিল্ডে এই প্রথম এক ম্যাচে এত রান করেন। ডাগ ওয়াল্টার্সের ৬০ বছরের পুরনো নজির ভেঙে দেন কনস্টাস।
পন্টিংয়ের মতো তরুণতম ক্রিকেটার হিসাবে শেফিল্ড শিল্ডে জোড়া ইনিংসে শতরান করেছেন। পন্টিং ১৮ বছর ৮৫ দিনের মাথায় এই নজির গড়েছিলেন। কনস্টাসের ব্যাটিংই শুধু নয়, তাঁর টেকনিক এবং প্রতিভা আলাদা করে নজর কেড়েছে। যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে সহজে মানিয়ে নিতে পারেন। বিপক্ষ দলের বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে খেলতেও সমস্যা হয়নি।
কনস্টাস ছাড়াও ভারত সিরিজ়ে টেস্ট দলে ঢোকার দাবিদার মার্কার হ্যারিস এবং ক্যামেরন ব্যানক্রফট। অতীতে বল বিকৃতি কাণ্ডে নির্বাসিত হওয়া ব্যানক্রফটের কাছে সুযোগ জাতীয় দলে ফেরত আসার।