রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
চিপকের কঠিন পিচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সহজ জয় তুলে নিয়ে খুশি ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ম্যাচ শেষের পর তাঁর হাসিতেই ধরা পড়ছিল খুশির পরিমাণ। দীর্ঘ দিন পর টেস্ট ক্রিকেটে ফেরা সতীর্থদের পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত রোহিত। একই সঙ্গে জানালেন দলের সাফল্যের রহস্য।
ম্যাচের পর রোহিতের মুখে শোনা গেল রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ঋষভ পন্থ, শুভমন গিল, রবীন্দ্র জাডেজাদের প্রশংসা। জানিয়েছেন ধৈর্য ধরার ফল পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এই ফলাফলটা আমাদের জন্য ইতিবাচক। বিশেষ করে সামনে সূচির দিকে তাকালে তো বটেই। অনেক দিন পর টেস্ট খেললাম আমরা। সবাই ফর্মে আছে। এটা ভাল লক্ষণ। আমরা দল হিসাবে পারফর্ম করতে চাই সব সময়।’’
প্রথম টেস্টে জয় নিয়ে বলেছেন, ‘‘প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকায় সুবিধা হয়েছে। কঠিন সময় কাটিয়ে ফিরে এসে পন্থ দুর্দান্ত খেলল। ও নিজেকে যে ভাবে তৈরি করেছে, সেটা অনবদ্য। আইপিএলে ভাল খেলেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাল খেলেছে। তার পর টেস্ট ক্রিকেটে এমন পারফরম্যান্স। পন্থ টেস্ট ক্রিকেট খেলতে ভালবাসে। অনেক দিন পর লাল বলের ক্রিকেটে নেমেছে। আমরা চেয়েছিলাম ওকে যথেষ্ট সময় দিতে মানিয়ে নেওয়ার জন্য। ব্যাট হাতে ও কেমন, সেটা সকলেই জানি। দলীপ ট্রফিতেও রান করেছিল। তবে টেস্ট সব সময় আলাদা।’’
দলের বোলারদের নিয়েও উচ্ছ্বাস গোপন করেননি রোহিত। ভারতীয় দলের অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আমরা দলের বোলিংকে আরও শক্তিশালী এবং বৈচিত্রময় করতে চাই। সব রকম পিচে খেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে চাই আমরা। চেন্নাইয়ের পিচ বেশ ভাল ছিল। আমাদের বোলারেরা যথেষ্ট দায়িত্ব নিয়ে খেলেছে।’’
এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে শুরুতে চিন্তা থাকলেও সওয়া তিন দিন খেলার পর সন্তুষ্ট রোহিত। তিনি বলেছেন, ‘‘পিচ দারুণ ছিল। লাল মাটির পিচে সবার জন্য কিছু না কিছু থাকে। একটু ধৈর্য ধরতে হয়। ভারতের কিছু পিচে প্রতি বলে কিছু না কিছু হতে পারে। এখানকার উইকেট তেমন ছিল না। রান এবং উইকেটের জন্য আমরা অপেক্ষা করেছি। তার ফল পেয়েছি। অশ্বিনই দেখিয়ে দিল পিচ কঠিন ছিল না। এখানকার পিচ ওর হাতের তালুর মতো চেনা। ঘরোয়া ক্রিকেট, আইপিএল, তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগের প্রচুর ম্যাচ খেলেছে। সব ক্ষেত্রে সফলও হয়েছে।’’
রোহিতের আশা, দল দ্বিতীয় টেস্টেও আগ্রাসী এবং ইতিবাচক ক্রিকেট খেলবে। নিজের বা কোহলির রান না পাওয়া নিয়েও চিন্তিত নন। চেন্নাইয়ের জয়কে দলগত প্রচেষ্টার সাফল্য বলেই মনে করছে।