লোকেশ রাহুল এবং বিরাট কোহলি। ছবি: পিটিআই।
রান তাড়া করার ক্ষেত্রে বিরাট কোহলিই রাজা। রবিবার চেন্নাইয়ের মাঠে সে কথা আরও এক বার প্রমাণিত। তার সঙ্গী হলেন চোট সারিয়ে দলে ফেরা লোকেশ রাহুল। ২ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে নিয়ে গেলেন ১৬৭ রানে। চতুর্থ উইকেটে বিশ্বকাপে ভারতের সব থেকে বেশি রানের রেকর্ডও গড়লেন বিরাট এবং রাহুল।
চেন্নাইয়ের পিচে ব্যাট করা কঠিন ছিল। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের কাজ কঠিন করে দিয়েছিলেন ভারতের স্পিনারেরা। আর বিরাটের কাজ কঠিন করেছিলেন ঈশান কিশন, রোহিত শর্মা এবং শ্রেয়স আয়ার। ভারতের তিন ব্যাটার কোনও রান না করে সাজঘরে ফিরে গেলেন। ২০০ রান তাড়া করতে নেমে ২ রানে ৩ উইকেট হারালে যে কোনও দলই চাপে পড়ে যায়। ভারতীয় দলে একটা বিরাট থাকায় এ যাত্রায় বেঁচে গেল।
চেন্নাইয়ের পিচে ব্যাটারদের সময় প্রয়োজন। বল থমকে ব্যাটে আসছিল। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারেরা বিপদে পড়লেন। ভারতের ঈশানেরা যদিও সে সব অপেক্ষা করার সময়ই নেননি। প্রথম বলেই ব্যাট চালিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ঈশান। শ্রেয়সও প্রায় নিজের উইকেট দিয়ে আসেন। তাঁদের থেকে বিরাট কেন আলাদা? কেন তাঁর নাম সর্বকালের সেরাদের সঙ্গে নেওয়া হয় তা বুঝিয়ে দিলেন। বড় ম্যাচেই বড় ক্রিকেটার চেনা যায়। বিরাট সেটাই বুঝিয়ে দিলেন। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে একার হাতে পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। রবিবার ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তিনি সঙ্গী পেলেন রাহুলকে।
বিরাট এবং রাহুল সিঙ্গলস নিয়ে জুটি গড়তে শুরু করেন। তাঁরা কোনও তাড়াহুড়ো করেননি। বিরাট শুধু ১২ রানে ব্যাট করার সময় একটি বাউন্সারে ভুল ব্যাট চালিয়েছিলেন। সেই ক্যাচ ফেলে দেন মিচেল মার্শ। সেটাই কাল হল অস্ট্রেলিয়ার। একটি একটি করে রান আর বল বুঝে কখনও স্ট্রেট ড্রাইভ, কখনও কভার ড্রাইভ আবার কখনও লেগ সাইডে হাল্কা পুশ করে চার মারলেন বিরাট-রাহুল। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের চেন্নাইয়ের গরমে এমনিতেই ঘাম বেরিয়ে গিয়েছিল। বিরাটেরা তাঁদের আরও হতাশ করে দিলেন ক্রিজ কামড়ে পড়ে থেকে।
বিরাট (৮৫) যখন আউট হলেন, তখন ভারতের জয়ের জন্য চাই আর ৩৩ রান। হার্দিক পাণ্ড্য নেমে যা দ্রুত তুলে দিলেন। রাহুল চেষ্টা করেছিলেন শতরান করার। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া এতটাই কম রান করে যে, রাহুলের পক্ষে সেটা সম্ভব হয়নি। ৯৭ রানে অপরাজিত থেকে যান রাহুল।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।