কোচের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও অধিনায়ক হরমনপ্রীত কউরের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ছিল না মিতালির। হরমনও চেয়েছিলেন সমস্যা মিটিয়ে নিতে। তাই দিল্লিতে দু’জনের মধ্যে কথা হয়। সেখানে উপস্তিত ছিলেন বিনোদ।
দলে থাকা নিয়ে অন্ধকারে ছিলেন মিতালি ফাইল চিত্র
২০১৮ সালে মহিলাদের টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দলে রাখা হয়নি মিতালি রাজকে। তিনি দলে থাকবেন না সেই খবর নাকি আগে থেকে জানানো হয়নি তাঁকে। এই ঘটনায় অসম্মানিত বোধ করেন ভারতের এক দিনের দলের অধিনায়ক। তৎকালীন কোচ রমেশ পওয়ারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বিসিসিআই-এর কাছে এই ঘটনায় নিজের লিখিত বক্তব্য জানান মিতালি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের প্রধান বিনোদ রাই এক বইয়ে সেই ঘটনার কথা জানিয়েছেন।
বিনোদ জানান, ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিশ্বকাপ চলাকালীন এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক হয়। দুই বোর্ড কর্তা রাহুল জোহরি ও সাবা করিম আলাদা আলাদা করে মিতালি ও রমেশের সঙ্গে কথা বলেন। দু’জনকে লিখিত আকারে তাঁদের বক্তব্য জমা দিতে বলা হয়। মিতালি তাঁর বক্তব্যে জানান, কী ভাবে তাঁর সঙ্গে কোচ খারাপ ব্যবহার করেন। তাঁকে দলে না রাখার থেকেও যে ভাবে তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয় তাতে তিনি বেশি কষ্ট পান বলে জানান মিতালি।
অন্য দিকে রমেশ জানান, মিতালিকে সামলাতে সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। প্রতিযোগিতায় খারাপ খেলার জন্যই তাঁকে দলের বাইরে রাখা হয়। দলের অধিনায়ক ও ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান রমেশ।
কোচের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও অধিনায়ক হরমনপ্রীত কউরের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ছিল না মিতালির। হরমনও চেয়েছিলেন সমস্যা মিটিয়ে নিতে। তাই দিল্লিতে দু’জনের মধ্যে কথা হয়। সেখানে উপস্তিত ছিলেন বিনোদ। হরমন জানান, মিতালিকে দলে না রাখার সিদ্ধান্ত তাঁর সঙ্গে কথা বলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কখন মিতালিকে জানানো হয় সেটা তিনি জানতেন না।
অন্য দিকে মিতালি জানান, ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগেও তিনি জানতেন না যে দলের বাইরে থাকবেন। টসের আগে তাঁকে কোচ এসে সেই খবর দেন। তিনি বেশি কষ্ট পান। তিন ঘণ্টার সেই বৈঠকে মিতালি ও হরমনপ্রীতের মধ্যে সব সমস্যা মিটে যায় বলে জানিয়েছেন বিনোদ।