এই মরসুমে বাংলা ছাড়েন ঋদ্ধিমান সাহা। —ফাইল চিত্র
বিরাট কোহলি শতরান পেয়েছিলেন ১০২০ দিন পর। ঋদ্ধিমান সাহা শতরান করলেন ২০৭০ দিন পর। বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার শেষ শতরান করেছিলেন ভারতের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রাঁচীতে ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ। মঙ্গলবার আবার শতরান এল ঋদ্ধির ব্যাটে। বিজয় হজারে ট্রফিতে ত্রিপুরার জার্সিতে শতরান পেলেন চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে।
এ বছর বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরাতে যোগ দিয়েছেন তিনি। দলের অধিনায়কও ঋদ্ধি। দলকে চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে জেতানোর মতো জায়গায় পৌঁছেও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না।
ঋদ্ধি মঙ্গলবার ১০১ রান করেন। তিনি যখন আউট হন ত্রিপুরার প্রয়োজন ছিল ১০ বলে ১৪ রান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা করতে পারল না ত্রিপুরা। ৪ রানে হেরে যায় তারা। ঋদ্ধি ১০৬ বলে ১০১ রান করেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ছ’টি চার এবং তিনটি ছক্কা দিয়ে। রজত দে ৭৮ রান করেন। রান পাননি সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। তিনি মাত্র ১৪ রান করেন। ঋদ্ধি এবং সুদীপ এই মরসুমে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরা দলে যোগ দেন।
ঘরোয়া এক দিনের প্রতিযোগিতায় প্রথমে ব্যাট করে চণ্ডীগড় তোলে ২৫৫ রান। অধিনায়ক মনন ভোহরা রান না পেলেও অর্ধশতরান করেন শিবম ভাম্ব্রি। ৫৯ রান করেন তিনি। গৌরব পুরি ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৪৮ রান করেন ভাগমেন্দের লেদার। ৪৩ রান করেন আরসলান খান। ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন গুরিন্দর সিংহ। চণ্ডীগড়ের সেই রান টপকাতে বড় ইনিংস খেলতে হত ঋদ্ধিকে। সেটাই খেললেন অধিনায়ক।
এখনও পর্যন্ত বিজয় হজারেতে তিনটি ম্যাচ খেলেছে ত্রিপুরা। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশ এবং চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে হারলেও হায়দরাবাদকে হারিয়ে দেন ঋদ্ধিরা। গ্রুপ এ তে রয়েছে ত্রিপুরা। গ্রুপ টেবিলে আট দলের মধ্যে সপ্তম স্থানে তারা। সেই গ্রুপে শীর্ষে সৌরাষ্ট্র। তিন ম্যাচ খেলে তাদের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। সমসংখ্যক পয়েন্ট রয়েছে হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, চণ্ডীগড় এবং হায়দরাবাদ। ত্রিপুরা ছাড়াও ৪ পয়েন্ট রয়েছে গুজরাত। এখনও কোনও পয়েন্ট পায়নি মণিপুর।