Ray Illingworth

Ray Illingworth: একাত্তরের জয়ের ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইলিংওয়ার্থ প্রয়াত

তাঁকে ক্রিকেট দুনিয়া চিনত রে ইলিংওয়ার্থ নামে। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। দুরারোগ্য ক্যানসারে ভুগছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৫৯
Share:

বিদায়: চলে গেলেন প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইলিংওয়ার্থ।

একাত্তরে ইংল্যান্ডে ভারতীয় ক্রিকেট দলের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের সময় তিনিই ছিলেন অজিত ওয়াড়েকরের প্রতিপক্ষ অধিনায়ক। ওয়াড়েকর আগেই প্রয়াত হয়েছেন। এ বার চলে গেলেন রেমন্ড ইলিংওয়ার্থ। ঐতিহাসিক সিরিজের দুই অধিনায়কই আর রইলেন না।

Advertisement

তাঁকে ক্রিকেট দুনিয়া চিনত রে ইলিংওয়ার্থ নামে। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। দুরারোগ্য ক্যানসারে ভুগছিলেন। একাধিক পালক ছিল তাঁর টুপিতে। ইংল্যান্ডের অ্যাশেজজয়ী অধিনায়ক। একাত্তরে ভারতের ওভাল টেস্ট জয়ের নায়ক চন্দ্রশেখরকে নিয়ে বিস্মিত থেকেছেন যে, পোলিয়োয় ছোট হয়ে যাওয়া হাত নিয়েও কী ভাবে এমন স্পিনের ইন্দ্রডাল বুনতেন। ‘‘চন্দ্রকে লেগস্পিনার বলা যেতেই পারে। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, শেন ওয়ার্নের থেকেও বেশি গুগলি করত ও,’’ বলেছিলেন সেই সিরিজের ইংল্যান্ড অধিনায়ক। মনে করতেন, ডেরেক আন্ডারউডের জায়গায় ব্রায়ান লাকহার্স্টকে বল দিলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কাজ কঠিন হত। পরবর্তীকালে হেড কোচ হয়েছেন এবং নির্বাচক প্রধানের দায়িত্বও সামলান।

১৯৫১-তে ইয়র্কশায়ারের হয়ে অভিষেকর পরে প্রায় ৩২ বছর তিনি ক্রিকেট খেলেছেন। ১৯৮৩-তে ইয়র্কশায়ারকে ৫১ বছর বয়সে সানডে লিগ জিতিয়ে ক্রিকেটকে বিদায় জানান তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৪,১৩৪ রান এবং ২০৭২ উইকেট রয়েছে তাঁর। অধিনায়ক হিসেবে ইয়র্কশায়ারকে তিনটি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ জিতিয়েছেন তিনি।

Advertisement

১৯৫৮ থেকে ১৯৭৩— ইংল্যান্ডের হয়ে ৬১টি টেস্ট খেলেন তিনি। টেস্টে ১,৮৩৬ রান করেছিলেন। গড় ২৩.২৪। অফস্পিন করে সংগ্রহ ছিল ১২২ উইকেট। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসেবে ৩১ টেস্টে তাঁর জয় ১২টিতে। এর মধ্যে সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য, ১৯৭০-’৭১ মরসুমে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ২-০ জেতা। ১৯৭১-এর জানুয়ারিতে মেলবোর্নে প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচেও ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। যদিও বিল লরির অস্ট্রেলিয়া সেই ম্যাচ জেতে পাঁচ উইকেটে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরে বিবিসি-র বিশেষজ্ঞ ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ শুরু করেন। তার পরে ইংল্যান্ডের কোচ এবং নির্বাচক কমিটির প্রধানের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

এ ছাড়াও গালি অঞ্চলের নির্ভরযোগ্য ফিল্ডার হিসেবেও নাম করেছিলেন তিনি। ক্রিকেট তাঁর হৃদয়ের এতটাই কাছের ছিল যে কৈশোরের প্রিয় ক্লাব ফার্সলি ক্লাবের ২২ গজ প্রস্তুতিতে সব সময়েই উপস্থিতি ছিল তাঁর। এমনকি ২০১১ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে চলাফেরা কমিয়ে দিলেও এই কাজে বিরাম ছিল না। এ দিন ইয়র্কশায়ার ক্লাবের তরফেই তাঁর মৃত্যুসংবাদ প্রকাশ করে টুইট করা হয়, ‍‘‍‘দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, প্রয়াত হয়েছেন রে ইলিংওয়ার্থ। গোটা ইয়র্কশায়ার পরিবারের হৃদয়ে থাকবেন রে। আমরা ইলিংওয়ার্থ পরিবারের পাশেই রয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement