(বাঁ দিকে) বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা। — ফাইল চিত্র
বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের কাঠগড়ায় তুলে দিলেন ভারতীয় আম্পায়ার। দেশের মাটিতে খেলা হলেই নাকি ভারতের তারকা ক্রিকেটাররা আম্পায়ারের উপর প্রবল চাপ তৈরি করেন। এমনই অভিযোগ নীতিন মেননের। যে কোনও ৫০-৫০ সিদ্ধান্ত নিজেদের পক্ষে টানার জন্য রোহিত, কোহলিরা ঘাড়ে চেপে বসেন বলে মন্তব্য করেছেন আইসিসি-র এলিট প্যানেলে থাকা ভারতীয় আম্পায়ার।
চলতি অ্যাশেজ সিরিজে আম্পায়ারিং করবেন নীতিন। তার আগে সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় ক্রিকেটারদের দিকে অভিযোগ তুলেছেন। নীতিন বলেছেন, “ভারত দেশের মাটিতে ম্যাচ খেলতে নামলে তা নিয়ে অনেক চর্চা হয়। কারণ ভারতের দলে প্রচুর তারকা রয়েছে। তারা সব সময় আম্পায়ারদের চাপে রাখতে চায়। যে কোনও ৫০-৫০ সিদ্ধান্ত নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু আমরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখলে ওরা কী করছে সেটা নিয়ে বিশেষ ভাবতে হয় না।”
প্রসঙ্গত, বিশ্ব টেস্ট ফাইনালেই ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করতে দেখা গিয়েছিল। শুভমন গিলকে বিতর্কিত ক্যাচে আউট দেওয়ার পর বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। অথচ ‘সফট সিগন্যাল’ উঠে যাওয়ার পর এ ধরনের ক্ষেত্রে মাঠের আম্পায়ারদের কিছু করারই নেই। তবু রোহিতরা ছাড়েননি তাঁকে।
আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে সবার আগে এগিয়ে থাকবেন বিরাট কোহলি। কত বার যে তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন আম্পায়ারদের প্রতি, তার হিসাব নেই। গত বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে শেষ ওভারে একটি ‘নো বল’ নিয়ে রেগে গিয়েছিলেন কোহলি। আম্পায়ার প্রথমে ‘নো বল’ ডাকেননি। কিন্তু কোহলির জোরাজুরিতে ‘নো বল’ দিতে বাধ্য হন। পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা তাতে মোটেও খুশি হননি। তার আগে আইপিএলের একটি ম্যাচে হালকা বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর কুমার ধর্মসেনাকে চাপ দিয়ে জোর করে ম্যাচ বন্ধ করানোর চেষ্টা করতে থাকেন।
কিন্তু আম্পায়াররা এখন আগের থেকে বেশি বুদ্ধিমান হয়ে গিয়েছেন বলে মনে করেন নীতীন। ক্রিকেটারদের সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা তৈরি হয়ে যাওয়ার তাঁরা আর ভয় পান না। নীতীন বলেছেন, “ধরুন কালকে কোনও একটা ম্যাচে আমি আম্পায়ারিং করব। আগে থেকেই আমি জানি সেই ম্যাচে কোন কোন ক্রিকেটার খেলতে পারে। কোন ক্রিকেটার কী ধরনের আচরণ করতে পারে সেই সম্পর্কে আমাদের একটা ধারণা তৈরি হয়ে যায়। কী করে সেই ক্রিকেটারদের সামলাব এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখব সেই বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রাখি।”