প্রতীকী ছবি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই এক ক্রিকেটারকে ১৪ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করল আইসিসি। ম্যাচ গড়াপেটায় যুক্ত থাকার অভিযোগে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মেহার ছায়াকরকে নির্বাসিত করল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। এই নিয়ে গত দেড় বছরে আমিরশাহির চার ক্রিকেটারকে নির্বাসিত করল আইসিসি।
মেহারের বিরুদ্ধে একাধিক বার গড়াপেটায় যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে। আইসিসির দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত সাত নম্বর ধারায় অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে এপ্রিলে জ়িম্বাবোয়ে-আমিরশাহি সিরিজ় এবং কানাডার জি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় মেহারের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ ওঠে। তারও আগে ২০১৮ সালে প্রথম মেহারের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছিল।
আইসিসি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘‘২০১৮ সালে আমাজ়নে একটি দুর্নীতি যুক্ত প্রতিযোগিতায় আমরা প্রথম খোঁজ পাই মেহার ছায়াকরের। ওই প্রতিযোগিতায় মেহারই দুর্নীতির যোগসূত্র ছিল। তার পরেও দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি আমাদের খেলাটির ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। সে কারণেই তাঁকে দীর্ঘ নির্বাসনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ আরও বলা হয়েছে, ‘‘ক্রিকেটে দুর্নীতি রুখতে ধারাবাহিক এবং নিরসল ভাবে লড়াই চালিয়ে যাবে আইসিসি। মেহারের ১৪ বছরের নির্বাসন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তদের প্রতি কঠোর বার্তা। আমাদের খেলাটিকে কেউ কলুষিত করার চেষ্টা করলে এমন কঠোর ব্যবস্থাই নেওয়া হবে।’’
মেহারের জন্ম ভারতে হলেও দীর্ঘ দিন আমিরশাহির বাসিন্দা। ২০১৯ সালেও এক বার আরও তিন ক্রিকেটারের সঙ্গে মেহারকে নির্বাসিত করেছিল আইসিসি। মেহারের বিরুদ্ধে আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার কাজে অসহযোগিতা করা এবং বাধা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
উল্লেখ্য, ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে আমিরশাহির প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ নাভিদ এবং প্রাক্তন ব্যাটার আনোয়ার বাটকে ২০২১ সালে মার্চ মাসে আট মাসের জন্য নির্বাসিত করে। একই কারণে আমিরশাহির প্রাক্তন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার গুলাম শাব্বিরকে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে চার বছরের জন্য নির্বাসিত করে আইসিসি।