ঋষভ পন্থকে আউট করার পর ট্রেভিস হেডের উচ্ছ্বাস। ছবি: এক্স (টুইটার)।
ঋষভ পন্থকে আউট করার পর দু’হাতের আঙুলের মুদ্রায় সতীর্থদের বিশেষ ইঙ্গিত করেছিলেন ট্রেভিস হেড। কী বোঝাতে চেয়েছিলেন তিনি? তাঁর উচ্ছ্বাস প্রকাশের ধরন নিয়ে ক্রিকেট মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। ধারাভাষ্যকারেরা হেডের আঙুলের মুদ্রার অর্থ খুঁজে পেয়েছেন। হেড নিজেও উচ্ছ্বাসের অর্থ জানিয়েছেন।
পন্থের উইকেট নেওয়ার পর বাঁ হাতের দুই আঙুল দিয়ে তৈরি বৃত্তের মধ্যে ডান হাতের একটি আঙুল ঢোকানোর মতো ইঙ্গিত করেন হেড। এ ভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশের মাধ্যমে একটি বিশেষ বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর টেলিভিশন চ্যানেলের সঞ্চালিকা হেডের কাছে তাঁর উচ্ছ্বাস প্রকাশের অর্থ জানতে চান। অস্ট্রেলীয় ব্যাটার জানিয়েছেন, পরিকল্পনা মতো পন্থকে গর্তে ফেলতে পারার কথা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘সাড়ে চার দিন মাঠে ছিলাম। ব্যাট হাতে তেমন অবদান রাখতে পারিনি। অন্তত পন্থের উইকেট নেওয়ায় অল্প হলেও তো অবদান রাখতে পারলাম। আসলে কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড এবং প্যাট কামিন্স একটা পরিকল্পনা করেছিল পন্থকে নিয়ে। ওদের পরিকল্পনা মতো বল করার চেষ্টা করেছি। ওদের সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম। ওরা খুশি দেখে আমারও ভাল লেগেছে।’’
হেড নিজে জানানোর আগে বিভিন্ন জন বিভিন্ন মানে তৈরি করেন তাঁর উচ্ছ্বাসের ধরন নিয়ে। পিছিয়ে ছিলেন না ভারত-অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ টেস্টের ধারাভাষ্যকারেরাও। চ্যানেল সেভেনের হয়ে ধারাভাষ্য করেছেন জেমস ব্রেশ। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৭ বলের মধ্যে হেড ১০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিল। সেই ম্যাচে বল করার পর ওকে বরফের মধ্যে আঙুল ঢুকিয়ে রাখতে হয়েছিল। অনেকেই হয়তো ভুলে গিয়েছেন বিষয়টা। হেড হয়তো সেই ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বোঝাতে চেয়েছে, ও খারাপ বল করে না।’’
তাঁর সঙ্গী ধারাভাষ্যকার গ্রেগ ব্লেওয়েট মজা করে বলেছেন, ‘‘ব্রেশ, তুমি বেশ গবেষণা করে ফেলেছ দেখছি। এই ব্যাপারে আমার কিছুই জানা ছিল না। আমাদের একটা চিরকুট দেওয়া হয়েছিল, তা থেকে আন্দাজ করেছিলাম। তবে হেড দলের জন্য ভাল একটা কাজ করেছে। হয়তো দলকে চাপ থেকে বার করে আনতে পারার বিষয়টা বোঝাতে চেয়েছে।’’