ফাইল চিত্র।
বাংলার ক্রিকেট দলের মেন্টর হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৮ সালে। সাইরাজ বাহুতুলে দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে তিনিই মনোজ তিওয়ারিদের কোচ। কিন্তু আগামী মরসুম থেকে বাংলার কোচের দায়িত্বে আর না-ও দেখা যেতে পারে অরুণ লালকে।
কয়েক দিন ধরেই ঘনিষ্ঠমহলে এই বিষয়ে আলোচনা করছেন অরুণ। এ বছরের শুরুতে বাংলা দলের সঙ্গে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকায় মায়ের মৃত্যুর সময় পাশে থাকতে পারেননি। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি বলয় ছেড়ে চলে যান তিনি। মায়ের মৃত্যুর সময় তাঁর পাশে থাকতে না পারার আক্ষেপ ভুলতে পারেননি অরুণ। তারই সঙ্গে আগের মতো কোচিংয়ের ধকল নিতেও সমস্যা হচ্ছে তাঁর।
সামনেই বাংলার রঞ্জি ট্রফি মরসুম শুরু হচ্ছে। তাই প্রত্যেক দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাঠে থাকতে হচ্ছে অরুণকে। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে প্রস্তুতি ম্যাচ। অর্থাৎ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাঠেই থাকবেন অরুণ। শুধু বসে থাকাই কাজ নয়। কেউ ভুল করলে তাঁকে শুধরে দেওয়ার দায়িত্বও সামলাতে হয় তাঁকে। সঙ্গে রয়েছে দলের পরিকল্পনা তৈরি করার চাপ। তরুণ ক্রিকেটারদের দেখে নেওয়ার পাশাপাশি ক্রিকেটার তৈরি করারও দায়িত্ব সামলে চলেছেন তিনি।
বাংলার কোচ হিসেবে তাঁর ক্যাবিনেটে হয়তো কোনও ট্রফি আসেনি। কিন্তু তিনি দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ফিটনেসে উন্নতি করেছেন ক্রিকেটারেরা। তাঁর হাত ধরেই বাংলা ক্রিকেটে প্রবেশ করেছে ইয়ো ইয়ো টেস্ট। ট্রেনার সঞ্জীব দাসের সঙ্গে মরসুমের দু’মাস আগে থেকে ফিটনেস ট্রেনিং শুরু করেন অরুণ। তাঁর প্রশিক্ষণেই ২০১৯ সালে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালেও খেলেছিল বাংলা। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁর দল এখনও সফল হতে পারেনি।
বাংলার কোচ অবশ্য দলের খেলায় খুশি। বিজয় হজারে ট্রফি থেকে বাংলা ছিটকে যাওয়ার পরে অরুণ বলেছিলেন, ‘‘তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়েও দল ভাল েখলেছে। কর্নাটক, মুম্বই, বরোদার মতো দলকে হারিয়েছি। আমরা খারাপ খেলে ছিটকে যাইনি। তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে নেট রানরেট কম হয়ে যাওয়ায় সমস্যা হয়ে গেল।’’
অরুণ যতই ক্রিকেটারদের পাশে থাকার কথা বলুন, তাঁর থেকেও ট্রফি আশা করে সিএবি। যদিও বাংলার ক্রিকেট সংস্থা কোনও চাপ সৃষ্টি করেনি। অরুণ নাকি নিজেই সরে যেতে চাইছেন। দলের মধ্যেও তাঁকে নিয়ে কেউ কেউ অসন্তুষ্ট। তাই আগামী মরসুমে আর কোচ থাকতে চান না অরুণ। মেন্টর হিসেবে থাকতে রাজি হতেও পারেন। কিন্তু কোচ হিসেবে এ মরসুমেই হয়তো তাঁর যাত্রা শেষ।