বোর্ডের কোষাগার আরও ভরল। ফাইল ছবি
নতুন বোর্ড সভাপতি হওয়ার পরেই একাধিক পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন রজার বিন্নী। সেগুলি রূপায়িত করতে কোনও আর্থিক বাধা থাকার কথা নয়। বিদায়ী কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল জানিয়ে দিয়েছেন, গত তিন বছরে বোর্ডের কোষাগার ফুলেফেঁপে উঠেছে। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড আরও ধনী হয়েছে।
মঙ্গলবার বোর্ডের সাধারণ সভার শেষে ধুমল বাকি সদস্যদের জানান, গত তিন বছরে বোর্ডের কোষাগারে ঢুকেছে ৬০০০ কোটি টাকা। ২০১৯-এ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, জয় শাহরা যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন বোর্ডের কোষাগারে ছিল ৩৬৪৮ কোটি টাকা। সেটাই এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬২৯ কোটি টাকায়। ধুমল লিখেছেন, “এই আয় যুগান্তকারী। কারণ, রাজ্য সংস্থাগুলির বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ পাঁচ গুণ বেড়েছে। ৬৮০ কোটি টাকা থেকে তা বেড়ে হয়েছে ৩২৯৫ কোটি টাকা। তার পরেও বোর্ডের কোষাগারে এত টাকা রয়েছে।”
আগামী দিনে এই অর্থ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন ধুমল। আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব বাবদ পাঁচ বছরে ৪৮,৩৯০ কোটি টাকা পাবে বোর্ড। পাশাপাশি দু’টি নতুন আইপিএল দল আসায় ১২,৭১৫ কোটি টাকা লাভ হয়েছে বোর্ডের। গত অর্থবর্ষে এই দু’টিই সবচেয়ে বেশি লাভজনক বলে চিহ্নিত করেছেন ধুমল।
বোর্ডের নয়া আইপিএল চেয়ারম্যান এটাও জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের আয়কর দফতরকে আবেদন করে কর ছাড়ের ব্যাপারেও সুরাহা মিলেছে।