শোয়েব মালিক (বাঁ দিকে), সানিয়া মির্জা। —ফাইল চিত্র
পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সানিয়া মির্জ়া। তা-ও আবার শোয়েব মালিকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হওয়ার পরে। সেই পুরনো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তার পরেই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, নিছক মজা করে কি সে কথা বলেছিলেন সানিয়া? না কি বিয়ের পর থেকেই শোয়েবকে নিয়ে বিরক্ত ছিলেন তিনি?
শোয়েব ও সানিয়া একটি অনুষ্ঠান করতেন। সেখানে অতিথি হিসাবে এসেছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। কথা বলতে গিয়ে সানিয়ে বলেন, ‘‘আমি সবাইকে একটা কথা বলতে চাই। আমি নিশ্চিত, জইনাব (রিয়াজের স্ত্রী) আমার কথার সঙ্গে একমত হবে। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সব থেকে প্রিয় কাজ স্ত্রীদের নিয়ে মজা করা।’’ এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরেই অনেক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সানিয়ার মতো শোয়েবেরও একটি পুরনো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। প্রাক্তন সতীর্থ শোয়েব আখতারের সঙ্গে শোয়েবের একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেটি তাঁর ও সানিয়ার বিয়ের আগের। সেখানে আখতার প্রশ্ন করেন যে শোয়েব কি কোনও মেয়েকে পছন্দ করেন? জবাব শোয়েব বলেন, ‘‘একটা মজার কথা বলব। সব মেয়েকেই আমার ভাল লাগে। ওরা আমার মনে নিজেদের জায়গা করে নেয়।’’ আখতার আবার প্রশ্ন করেন, শোয়েবের ভাল লেগেছে এমন পাঁচ জনের নাম বলতে পারবেন তিনি? জবাবে শোয়েব বলেন, ‘‘পাঁচ জন নয়, ৫০০ জন আছে। কার কার নাম বলব?’’
সানিয়াকে ছেড়ে পাক অভিনেত্রী সানা জাভেদকে বিয়ে করা নিয়ে খুশি নয় শোয়েবের পরিবার। তাঁর বোন জানিয়েছেন, শোয়েবের পরকীয়াতে অতিষ্ঠ হয়েই নাকি তাঁকে ছেড়েছেন সানিয়া। জানা গিয়েছে, সানিয়া মির্জ়ার সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল তাঁর পরিবারের তরফে। শোয়েব নিজেই নাকি সেটা চাননি। পাকিস্তানের এক দৈনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে বিয়েতে হাজির ছিল না শোয়েবের পরিবারই। শোয়েবের শ্যালক ইমরান জ়াফর জানিয়েছেন, পাকিস্তানের ক্রিকেটারের তৃতীয় বিয়ের কথা তাঁরা সমাজমাধ্যমের থেকেই জানতে পেরেছেন। শোয়েব নিজে নাকি কাউকে বলেননি। তা ছাড়া, তৃতীয় বিয়ের ব্যাপারে মত ছিল না কারওরই। ওই দৈনিকের দাবি, ২০২২-এর শেষের দিকে দুই পরিবারই দুবাইয়ে মিলিত হয়েছিল। বিয়ে নিয়ে যাবতীয় সমস্যা মেটানোর জন্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যাক এটা শোয়েবের পরিবারই চায়নি।
শোয়েবের পরিবারের একটি সূত্র ওই দৈনিককে বলেছেন, “বিচ্ছেদের পরে শোয়েব মালিকের পরিবারের খুবই ব্যথিত হয়েছিল। পরিবারের তরফে ক্রিকেটারকে অনুরোধ করা হয়েছিল যাতে তিনি সম্পর্ক ঠিকঠাক করে নেন।” শোয়েব নিজেই তা মানতে চাননি বলে জানা গিয়েছে। ঘনিষ্ঠজনের দাবি, শোয়েব নাকি তত দিনে সানার সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন।
সানাকে বিয়ের কথা ইনস্টাগ্রামে জানান শোয়েব। তার পরেই প্রশ্ন ওঠে, সানিয়ার সঙ্গে কি তাঁর বিচ্ছেদ হয়েছে। পরে অবশ্য সানিয়া জানিয়ে দেন, যে তিনি কয়েক মাস আগেই শোয়েবকে বিচ্ছেদ দিয়েছেন। শরিয়ত আইন অনুযায়ী বিচ্ছেদ দিয়েছেন তিনি।