বুমরাকে নিয়ে হঠাৎই আশা। ফাইল ছবি
হঠাৎই বদলে গেল যশপ্রীত বুমরার চোটের ধরন। আশা জাগল ভারতীয় দল এবং সমর্থকদের মনে। জানা গিয়েছে, বুমরার পিঠে স্ট্রেস ফ্র্যাকচার হয়নি। বরং স্ট্রেস রিয়্যাকশন হয়েছে। প্রথমটি সারতে অনেক সময় লাগলেও দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে বেশি দিন মাঠের বাইরে থাকতে হয় না। অর্থাৎ, প্রথমে চোট যতটা গুরুতর মনে করা হয়েছিল, এখন দেখা যাচ্ছে তা ততটাও গুরুতর নয়।
বোর্ডের সূত্র এক ওয়েবসাইটে বলেছেন, “জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে বুমরার স্ক্যান করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, স্ট্রেস ফ্র্যাকচার নয়, ওর স্ট্রেস রিয়্যাকশন হয়েছে। ফলে এই চোট অতটাও গুরুতর নয়। প্রথমটা সারতে চার থেকে ছয় মাস সময় লাগলেও, দ্বিতীয়টার ক্ষেত্রে চার-ছয় সপ্তাহের বেশি সময় লাগে না।” ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বুমরার অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। চেষ্টা চলছে অন্তত নকআউট পর্বে তাঁকে খেলানোর, যদি ভারত ওঠে।
এখনই বুমরার বিকল্প ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করা না-ও হতে পারে। ওই ওয়েবসাইটের খবর অনুযায়ী, আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতের হাতে সময় রয়েছে বিকল্প ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করার। তত দিনে বুমরার পরিস্থিতি স্পষ্ট হয়ে যাবে। তবে দল পরিচালন সমিতির আশা, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বুমরা।
এ দিকে, আগামী ৫ অক্টোবর রাতের বিমানে অস্ট্রেলিয়া রওনা হবে দল। কোভিডের পর প্রথম বার সাধারণ বাণিজ্যিক বিমানে ভ্রমণ করবে তারা। কোভিডের পর থেকে চার্টার্ড বিমান ব্যবহার করা হত। অস্ট্রেলিয়ায় কোনও জৈব বলয় নেই। তাই চার্টার্ড বিমানে যাওয়ারও দরকার নেই। এমনকি, অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে রোজ কোভিড পরীক্ষাও দিতে হবে না। কারও শরীরে উপসর্গ দেখা দিলে তবেই কোভিড পরীক্ষা হবে।