অ্যাডিলেডে বৃষ্টি। মাঠ ঢাকছেন কর্মীরা। ছবি: টুইটার।
অ্যাডিলেড ওভালে বৃষ্টি। খেলা বন্ধ হওয়ার সময় বাংলাদেশ ইনিংসের ৭ ওভার খেলা হয়েছে। ৭ ওভারের পর ভারতের রান ছিল ১ উইকেট ৪২ রান। বাংলাদেশ কোনও উইকেট না হারিয়ে করেছে ৬৬ রান। আর যদি একটা বলও না খেলা হয়, তা হলে সুবিধা বাংলাদেশের। ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির সুবাদে শেষ হাসি হাসতে পারেন শাকিবরা।
একটিও উইকেট না হারানোতেই সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের রান কম ছিল। সঙ্গে রোহিত শর্মা ফিরে গিয়েছিলেন সাজঘরে। সেই হিসাবে আর খেলা না হলে ১৭ রানে জিতে যাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ জিতে গেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার দৌড়ে অনেকটাই সুবিধাজনক জায়গায় চলে যাবে। অন্য দিকে কঠিন হবে ভারতের অঙ্ক। বৃষ্টির জন্য যদি ১০ ওভারের খেলা সম্ভব হয়, তা হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৮ বলে ২৩ রান।
প্রথমে ব্যাট করে ভারতীয় দল তুলেছে ৮৬ উইকেটে ১৮৪ রান। জবাবে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় বাংলাদেশের রান কোনও উইকেট না হারিয়ে ৬৬। অনবদ্য ব্যাটিং করছেন লিটন দাস। তিনি ২৬ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মেরেছেন সাতটি চার এবং তিনটি ছয়। ভারতের কোনও বোলারকেই রেয়াত করছেন না তিনি। উইকেটের অন্য প্রান্ত আগলে রেখেছেন আর এক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ১৬ বলে ৭ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। ফলে এই অবস্থা থেকে বাংলাদেশ জিতে গেলে কৃতিত্ব প্রাপ্য হবে লিটনেরই। বুধবার ২১ বলে অর্ধশতরান করলেন লিটন। তাঁর অর্ধশতরান চলতি বছরে ২০ ওভারের ক্রিকেটে দ্বিতীয় দ্রুততম।
লিটনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সামনে প্রথম থেকেই লাইন, লেংথের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি ভারতীয় বোলাররা। ভুবনেশ্বর কুমার ৩ ওভার বল করে দিয়েছেন ২৭ রান। আরশদীপ সিংহ ১ ওভারে দিয়েছেন ১২ রান। মহম্মদ শামি ২ ওভারে ২১ রান এবং অক্ষর পটেল ১ ওভারে ৬ রান দিয়েছেন। কেউ বাংলাদেশের ব্যাটারদের তেমন সমস্যায় ফেলতে পারেননি।