প্রস্তুতি ম্যাচে হারলেন রোহিতরা। —ফাইল চিত্র
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে জোর ধাক্কা খেল ভারত। দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হল রোহিত শর্মাদের। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ ভারতীয় ব্যাটিং। একাই লড়লেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। কিন্তু ম্যাচ জেতাতে পারলেন না তিনি। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান করল ভারত। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩৬ রানে হারল ভারত।
টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। এই ম্যাচেও প্রথম একাদশে খেলেননি বিরাট কোহলি। যদিও মাঠের ধারে তাঁকে প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই পশ্চিম অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ধাক্কা দেন আরশদীপ। জশ ফিলিপকে আউট করেন তিনি। কিন্তু তার পরে জুটি বাঁধেন ডার্সি শর্ট ও নিক হবসন। তাঁরা ভাল খেলছিলেন। পাওয়ার প্লে-তে ৫৪ রান করে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া।
পাওয়ার প্লে-র পরেও রানের গতি কমছিল না। শর্ট ও হবসন বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন। দু’জনেই অর্ধশতরান করেন। দেখে মনে হচ্ছিল ২০০-র কাছে রান করবে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ভারতকে ম্যাচে ফেরান হর্ষল। তাঁর একই ওভারে রবসন ও শর্টের উইকেট পড়ে। হবসন ৪১ বলে ৬৪ ও শর্ট ৩৮ বলে ৫২ রান করেন।
এই জুটি আউট হয়ে যাওয়ার পরে আর বেশি রান কেউ করতে পারেননি। ১৭তম ওভারে স্পিনের জাদু দেখান অশ্বিন। এক ওভারে তিন উইকেট নেন তিনি। পর পর দু’বলে অ্যাস্টন টার্নার ও স্টিভ ফ্যানিংকে সাজঘরে ফেরান অশ্বিন। তার পরে আউট করেন ক্যামেরন ব্যানক্রফ্টকেও। এই ধাক্কার পরে আর বেশি রান করতে পারেনি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত ১৬৮ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস।
বোলাররা ভাল খেললেও ব্যর্থ ভারতীয় ব্যাটাররা। রোহিতের বদলে রাহুলের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন ঋষভ পন্থ। কিন্তু পাওয়ার প্লে-তে রান তোলার গতি একদম কম ছিল। হাত খুলে খেলতে পারছিলেন না দুই ব্যাটার। পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে পন্থের উইকেট হারায় ভারত। তিন নম্বরে নামা দীপক হুডা পরের ওভারেই সাজঘরে ফেরেন।
২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে রাহুলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন হার্দিক পাণ্ড্য। হার্দিক রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ১৭ রান করে আউট হন তিনি। ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে রাহুলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন দীনেশ কার্তিক। নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন রাহুল। কিন্তু অন্য দিকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ছিল। ম্যাচের ১৯তম ওভারে রাহুল আউট হয়ে যান। ৫৫ বলে ৭৪ রান করে তিনি ফিরতেই ভারতের আশা শেষ হয়ে যায়। অবশেষে ৩৬ রানে ম্যাচ হারে ভারত।