কেন আরশদীপকে নিয়ে বিরক্ত সকলে? ফাইল ছবি
আরশদীপ সিংহের উপর বিরক্ত ভুবনেশ্বর কুমার। হয়তো বা রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিও। ভুবনেশ্বর নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। কেন সবাই এই উঠতি তারকাকে নিয়ে বিরক্ত, সেটাও খোলসা করেছেন ভুবি।
পুরোটাই মজা করে বলেছেন ভারতীয় দলের এই জোরে বোলার। পাকিস্তান ম্যাচের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘ভাবিইনি বল অতটা সুইং করবে। আমি এবং আরশদীপ দু’জনে একে অপরকে সাহায্য করছিলাম। নিজের বোলিং নিয়ে খুশি। আরশদীপ তো অভিষেক ম্যাচ থেকেই দারুণ বোলিং করছে। ও ম্যাচের আগে বার বার জিজ্ঞাসা করে পিচ কেমন এবং ব্যাটাররা কী ধরনের শট খেলতে পারে। রোহিত, আমি, বিরাট, কেউ ওর প্রশ্নের হাত থেকে রেহাই পাই না। জীবনের প্রথম বিশ্বকাপ খেলছে। অনেক ভাল বোলিং করছে।”
যশপ্রীত বুমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর অনেকেই আশঙ্কায় ছিলেন প্রতিযোগিতায় ভারতের সম্ভাবনা নিয়ে। কিন্তু দু’টি ম্যাচেই ভারতের বোলাররা দারুণ বল করেছেন। যাঁকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তা ছিল, সেই ভুবনেশ্বরও মাতিয়ে দিচ্ছেন। পাকিস্তান ম্যাচে মহম্মদ রিজ়ওয়ানকে সুইং করিয়ে বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে তাঁর প্রথম দু’টি ওভারে মেডেন এসেছে।
ভুবনেশ্বর জানালেন, বুমরার অভাব তাঁরা বোধ করছেন না। তাঁর কথায়, “বুমরার মতো বোলারের ছিটকে যাওয়া বড় ক্ষতি ঠিকই। কিন্তু ও না থাকায় আমাদের অতিরিক্ত কোনও চেষ্টা করতে হচ্ছে না। যদি অতিরিক্ত কিছু করতেই হত, তা হলে বুমরা থাকলেও করতে হত। আমরা জানি আমাদের শক্তি কী। সেটাকেই কাজে লাগাচ্ছি।”
এশিয়া কাপে ডেথ ওভারে বোলিং নিয়ে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে ভুবিকে। তিনি অবশ্য সে সবে পাত্তা দিচ্ছেন না। বলেছেন, “এত বছরে এক বারই আমার ছন্দ খারাপ হয়েছিল। ব্যস, ওটা নিয়ে আর মাথা ঘামাতে চাই না। সংবাদমাধ্যম এবং ধারাভাষ্যকাররা অনেক কিছুই বলবেন। তবে দল হিসাবে আমরা জানি, সবারই উত্থান-পতন থাকে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট এমনিতেই বোলারদের জন্য কঠিন। তার উপর এশিয়া কাপের মতো বড় প্রতিযোগিতায় এমনিতেই মানুষের নজর আপনার উপরে বেশি থাকবে।”
সমাজমাধ্যম থেকে দূরে থাকার কারণেও অনেক উপকৃত হয়েছেন, মানছেন ভুবি। বলেছেন, “বিশ্বকাপের সময় আমি নিজেকে সম্পূর্ণ সমাজমাধ্যম থেকে দূরে রাখতে চাই। বাইরে কী লেখা হচ্ছে সে সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। আসলে সমাজমাধ্যম থেকে আমাদের মনে নেতিবাচক ভাবনা আসে।”
আগামী রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পার্থে খেলতে নামবে ভারত। এখানেই তাদের শিবির হয়েছিল বিশ্বকাপের আগে। ফলে মাঠ ভালই চেনা ভুবিদের। বলেছেন, “পার্থে যথেষ্ট ভাল প্রস্তুতি হয়েছে। দল বদলের পর এখন আমাদের কৌশলও বদলে যাবে। সে নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি । প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচ জেতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পাকিস্তানের কাছে হারলে প্রত্যাবর্তন কঠিন হয়ে যেত।”