কোহলির মুখে হঠাৎই ইডেন গার্ডেন্সের কথা। ফাইল ছবি
দীর্ঘ ক্রিকেটজীবনে বহু বার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলেছেন বিরাট কোহলি। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মাঠে খেলে দলকে জিতিয়েছেন। কিন্তু কখনও মেলবোর্নে চিরশত্রুর বিরুদ্ধে নামেননি। বস্তুত, মেলবোর্নে ৩৭ বছর পর মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান। এক লাখি দর্শকের এই মাঠে খেলতে নামার আগে হঠাৎই ইডেন গার্ডেন্সের কথা মনে পড়ে গিয়েছে কোহলির।
২০১৫ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। সেই ম্যাচে শতরান করে দলকে জিতিয়েছিলেন কোহলি। তার আগে ১৯৯২ সালে সিডনিতে খেলেছিল ভারত-পাকিস্তান। তখনও জিতেছিল মহম্মদ আজহারউদ্দিনের ভারত। ১৯৮৫-র বেনসন অ্যান্ড হেজেস কাপের পর এই প্রথম বার মেলবোর্নে খেলবে ভারত-পাকিস্তান।
২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশ। সে বার মহম্মদ আমিরের আগুনে বোলিং সামলে কোহলির ব্যাটিংয়ে ম্যাচ জিতেছিল ভারত। সেই প্রসঙ্গে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে কোহলি বলেছেন, “খেলার থেকেও এক লাখ সমর্থকের সামনে নামার যে অনুভূতি হবে, তার দিকে তাকিয়ে রয়েছি। শেষ বার ইডেন গার্ডেন্সে এই অনুভূতির সাক্ষী ছিলাম। ৯০ হাজার দর্শক এসেছিলেন খেলা দেখতে। স্টেডিয়াম পুরো ভর্তি ছিল। আমি মাঠে নামার সময় দেখেছিলাম সচিন তেন্ডুলকর, সুনীল গাওস্কর, কপিল দেব, ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিসের মতো কিংবদন্তিরা দাঁড়িয়ে আছেন। কী অসাধারণ পরিবেশ ছিল তা বলে বোঝানো যাবে না। তবে পরিস্থিতি নিয়ে বেশি ভাবার আগেই ম্যাচে ফোকাস করেছিলাম।”
এ ছাড়াও কোহলির কথায় উঠে এসেছে মোহালির ম্যাচের কথাও। ২০১১ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। সেই ম্যাচ প্রসঙ্গে কোহলি বলেছেন, “মোহালির পরিবেশও অসাধারণ ছিল। বিশ্বকাপের ম্যাচে এ রকমই কিছু উত্তেজক পরিবেশ তৈরি হয়। এই অনুভূতির সঙ্গে কোনও কিছু মেলানো যায় না। কিছুটা চিন্তা, কিছুটা উত্তেজনা মিলিয়ে-মিশিয়ে থাকে। আমার দারুণ লাগে এ সব মুহূর্ত। মুহূর্তগুলোকে মিশিয়েই তৈরি হয় অভিজ্ঞতা।”