মেলবোর্নের সেই রাতে শাস্ত্রীর গাড়িতে অমরনাথ, গাওস্কররা। ফাইল ছবি
১৯৮৫-তে বেনসন হেজেস কাপের ফাইনালে মেলবোর্নের সেই রাত আজও অনেক ক্রিকেটপ্রেমীর চোখে ভাসে। পাকিস্তানকে আট উইকেটে হারানোর সেই ম্যাচে চূড়ান্ত দাপট দেখিয়েছিল ভারত। তার সাড়ে ৩৭ বছর পর আবার মেলবোর্নে মুখোমুখি হচ্ছে দুই প্রতিবেশী দেশ। এ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
ওই ম্যাচে একটি দৃশ্য এখনও লোকের মনে গেঁথে রয়েছে। দলকে ট্রফি জেতানোর পর সতীর্থদের নিয়ে আউডি গাড়ি চড়ে গোটা মাঠ ঘুরেছিলেন সিরিজের সেরা ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী। এখনও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রীর মুখে সেই দিনের কথা শোনা যায়। শাস্ত্রী এ বারও মেলবোর্নে থাকবেন। তবে ধারাভাষ্যকার হিসাবে।
সাড়ে ৩৭ বছর আগের সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তুলেছিল পাকিস্তান। জবাবে শাস্ত্রীর অপরাজিত ৬৩ এবং কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তের ৬৭ রানের সৌজন্যে প্রায় তিন ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জেতে ভারত। অধিনায়ক হিসাবে সেটাই ছিল সুনীল গাওস্করের শেষ ম্যাচ।
ভারত এবং পাকিস্তানের ম্যাচ নিয়ে তখন বাকি বিশ্বে অতটাও উৎসাহ তৈরি হয়নি। সে দিন মাঠে হাজির ছিলেন মাত্র ৩০ হাজার দর্শক। সেই ম্যাচে গ্যালারিতে একটি পোস্টারে লেখা ছিল, ‘বিশ্বকাপ ফাইনাল: ট্রাম কন্ডাক্টর বনাম বাস ড্রাইভার’। এশীয় প্রতিপক্ষদের ছোট করে দেখাতেই এই প্রচেষ্টা।
সেই চিত্র এত দিনে বদলে গিয়েছে। এ বার ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামে করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলেন আয়োজকরা। প্রায় এক লাখি স্টেডিয়ামের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তবু আগ্রহের কোনও শেষ নেই। এখনও টিকিটের জন্য হাহাকার রয়েছে। অনেকেই শুরুতে টিকিট কেটে এখন চড়া দামে কালোবাজারি করছেন। যদিও আইসিসি পরিষ্কার বলে দিয়েছে, অস্বীকৃত কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার কাছ থেকে টিকিট কেনা যাবে না। লোকে শুনছে কই!
প্রতি দিনই মেলবোর্নে বিমান থেকে মানুষ নামছেন শুধু এই ম্যাচের সাক্ষী থাকবেন বলে। মেলবোর্নে আর ঘর পাওয়া যাচ্ছে না। তিন রাতের জন্য ভারতীয় মুদ্রায় কয়েক লক্ষ টাকা দিতে হচ্ছে। হোটেলগুলিও ঝোপ বুঝে কোপ মারছে। সব মিলিয়ে মেলবোর্ন মেতে উঠেছে ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে।