রউফকে প্রথম ছক্কা মারার মুহূর্তে কোহলি। ছবি: আইসিসি
৮ বলে ২৮ রান দরকার ছিল। সেই সময় বড় শট না মারলে ম্যাচে জেতা সম্ভব হত না ভারতের। ঠিক তখনই পর পর দুটো ছক্কা মারলেন বিরাট কোহলি। তাও কাকে? এই ম্যাচে পাকিস্তানের সেরা বোলার হ্যারিস রউফকে। আরে সেই দুই ছক্কাতেই ম্যাচ ঘুরে গেল। কিন্তু রউফকে কোহলি যে দুটো ছক্কা মারেন তা মোটেও সহজ ছিল না। কী ভাবে সেই শট মারলেন, তা ম্যাচ শেষে নিজেই জানালেন কোহলি।
ম্যাচ শেষে কোহলি বলেন, ‘‘আমি নিজেকে মনে মনে বোঝাচ্ছিলাম, রউফের ওভারে শেষ দুটো বলে দুটো ছক্কা মারতেই হবে। কারণ, রউফ মার খেলে ওরা ভয় পেয়ে যেত। সেটাই হয়।’’ কিন্তু যে দু’টি ছক্কা তিনি মেরেছেন তার পিছনে বিশেষ পরিকল্পনা ছিল বলেও জানিয়েছেন কোহলি। তিনি বলেন, ‘‘আমি জানতাম রউফ বাউন্সার করার চেষ্টা করবে। তাই পিছনের পায়ে ছিলাম। ওই বলে সামনে খেলা ছাড়া উপায় ছিল না। বেশি জোরে মারার চেষ্টা করিনি। খালি ব্যাটে ঠিক মতো লাগানোর চেষ্টা করেছি। আর পরের বল যে ও গায়ে করবে সেটা আগে থেকেই বুঝে গিয়েছিলাম। সেই মতো খেলেছি।’’
রউফকে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে উইকেট থেকে কিছুটা সরে গিয়ে সোজা ব্যাটে সাইট স্ক্রিনের উপর দিয়ে মারেন কোহলি। প্রায় বুকের উচ্চতার বলকে ওভাবে সোজা ব্যাটে খেলা মোটেই সহজ নয়। কিন্তু কোহলি জানতেন, রউফ পিচে ঠুকে বল করবেন। তাই আগে থেকেই পিছনের পায়ে ছিলেন তিনি। মেলবোর্নে সব থেকে ছোট বাউন্ডারি সামনে। তাই সে দিকেই শট মারেন তিনি।
পরের বল কোহলির পায়ের দিকে করেন রউফ। আগে থেকেই কিছুটা অফ সাইডে সরে গিয়েছিলেন তিনি। তার পরে পিছনের দিকে শট খেলেন। সেটিও বাউন্ডারিতে গিয়ে পড়ে।