অঘটন ঘটিয়েই চলেছে আয়ারল্যান্ড। ছবি: টুইটার থেকে
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিল আয়ারল্যান্ড। বৃষ্টির কারণে ডাক ওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৫ রানে জেতে তারা। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব এটাকে প্রথম অঘটন বলেও মনে করছেন অনেকে। বিভিন্ন বিশ্বকাপে অনেক বড় দলের কাছেই ত্রাস হয়ে ওঠে তারা।
২০০৭ সালের এক দিনের বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে চমকে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছিল তাদের কথা। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। কামরান আকমল (২৭) এবং ইমরান নাজির (২৪) ছাড়া কোনও পাক ব্যাটার ২০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেননি। ইউনিস খান শূন্য রানে আউট হন। অধিনায়ক ইনজামাম উল হক মাত্র ১ রান করেন। মহম্মদ ইউসুফ করেন ১৫ রান। আয়ারল্যান্ডের আন্দ্রে বোথা ৮ ওভার বল করে ৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। বয়ড রানকিন নেন ৩ উইকেট। ১৩২ রানে শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
পাকিস্তানের বোলাররা ওই কম রানের পুঁজি নিয়েও লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন। মহম্মদ সামি ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। কিন্তু নীল ও’ব্র্যায়েনের (১০৭ বলে ৭২ রান) দাপটে পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল তারা।
পরের এক দিনের বিশ্বকাপে (২০১১ সাল) আয়ারল্যান্ড হারিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। আগের বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেওয়া যে অঘটন নয়, সেটাই দেখিয়ে দেন আইরিশরা। বেঙ্গালুরুর মাঠে প্রথমে ব্যাট করে ৩২৭ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। সেই বিশাল রান তাড়া করে ম্যাচ জেতে আয়ারল্যান্ড। কেভিন ও’ব্র্যায়ান ৬৩ বলে ১১৩ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছিলেন। শেষ ওভারে গিয়ে ম্যাচ জিতেছিল আয়ারল্যান্ড।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড হারিয়ে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে। ২০১৫ সালের এক দ দিনের বিশ্বকাপে দুই দল মিলে ৬০০ রানের উপর করেছিল। শেষ হাসি হেসেছিলেন আইরিশ ক্রিকেটাররাই। প্রথমে ব্যাট করে ৩০৪ রান তুলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। লেন্ডল সাইমন্স ১০২ রান করেছিলেন। ড্যারেন স্যামি করেন ৮৯ রান। কিন্তু তা জয় এনে দিতে পারেনি ক্যারিবিয়ান শিবিরকে। সহজেই ম্যাচ জিতে নেয় আয়ারল্যান্ড। ২৫ বল এবং ৪ উইকেট হাতে নিয়ে জিতেছিল তারা। পল স্টার্লিং ৯২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন। তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিলেন এড জয়েস (৮৪) এবং নীল ও’ব্রায়েন (৭৯ রানে অপরাজিত)।
এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারায় আয়ারল্যান্ড। সেই হারের পরেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় দু’বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ীরা। এ বার মূল পর্বে ইংল্যান্ডকে হারাল আয়ারল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে ১৫৭ রান করে আয়ারল্যান্ড। বৃষ্টির জেরে খেলা যখন বন্ধ হয় তখন ইংল্যান্ডের রান ১৪.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ১০৫। তখনও জয়ের জন্য ৩৩ বলে ৫৩ রান করতে হত ইংল্যান্ডকে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে আর খেলা শুরু করা গেল না। এর পরেই ঘোষণা করা হয় ডাক ওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৫ রানে জয়ী আয়ারল্যান্ড।