আউট হওয়ার পর ক্ষুব্ধ শাকিবকে মাঠ ছাড়তে অনুরোধ করছেন আম্পায়ার। ছবি: আইসিসি।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তৃতীয় আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আউট হয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক শাকিব আল হাসান। তাঁর আউট ঘিরে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ শিবির। যদিও শাকিবের আউট হওয়ার মধ্যে বিতর্ক দেখছেন না পাকিস্তানের শাদাব খান।
শাদাবের বলেই আউট হয়েছেন শাকিব। বল তাঁর পায়ে লাগার আগে ব্যাটে লেগেছিল। ডিআরএস নিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি শাকিব। শাকিবের উইকেট নেওয়া শাদাব অবশ্য বিতর্কের কিছু দেখছেন না। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই মুখ খুলেছেন তিনি। পাক অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘বিতর্কের কী আছে! আম্পায়াররা আউট দিয়েছেন। সুতরাং শাকিব আউট। আমাদের বোলাররা যথেষ্ট ভাল বল করেছে। উইকেটের চরিত্র অনুযায়ী বল করেছি আমরা।’’ বাংলাদেশ ইনিংসের পরেই শাকিবের আউট নিয়ে নিজের মতামত জানিয়ে দেন পাকিস্তানের সহ-অধিনায়ক। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত বলে মনে নেওয়ার পক্ষে শাদাব।
১১তম ওভারের চতুর্থ বলে ফিরে যান বাংলাদেশের ওপেনার সৌম্য সরকার। ব্যাট করতে নামেন শাকিব। পাকিস্তানের বোলার শাদাবের স্লো ফুলটস শাকিবের ব্যাটে লাগার পর পায়ে লেগে অন্য দিকে যায়। শাদাব এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করার পর মাঠের আম্পায়ার কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করে আউট দেন। শাকিব ডিআরএস নেন।
রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যায়, বল আগে ব্যাটে লেগেছে। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার বলে দেন, ব্যাটের সঙ্গে বলের কোনও যোগাযোগ হয়নি। স্নিকোমিটারে যা ধরা পড়েছে তা ব্যাটের সঙ্গে পিচের সংঘর্ষের শব্দ। বল সরাসরি শাকিবের পায়ে লেগেছে। তিনি আউটের সিদ্ধান্ত নেন। শাকিব বিশ্বাসই করতে পারছিলেন। প্রথমে অবাক হয়ে যান। তার পরে মাঠে থাকা দুই আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাঁকে খানিকটা জোর করেই মাঠ থেকে বের করে দেন আম্পায়াররা।
শাদাবের মতে, খেলায় অনেক সময়ই দলগুলিকে খারাপ সিদ্ধান্তের শিকার হতে হয়। সব দলকেই হয়। তা নিয়ে হইচই করার কোনও কারণ দেখছেন না শাদাব। পাক ক্রিকেটার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও বাংলাদেশ শিবির বিষয়টিকে বঞ্চনা হিসাবেই দেখছে। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে বিরাট কোহলির ভুয়ো ফিল্ডিং, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে শাকিবের আউটের মতো সিদ্ধান্তগুলো বিপক্ষে গিয়েছে। না হলে বিশ্বকাপের ফলাফল অন্যরকম হতে পারত বলে মনে করছে বাংলাদেশ।