T20 World Cup 2022

সাত ঘটনা: ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হার ভারতের। বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে সাদামাঠা দেখাল রোহিত শর্মাদের। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সাতটি ঘটনা তুলে ধরল আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২২ ১৩:৪১
Share:

মিলার-মার্করামের ৭৬ রানের জুটি ভারতের হারের অন্য়তম কারণ। ছবি: আইসিসি।

পাকিস্তানকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করা ভারত তৃতীয় ম্যাচেই হোঁচট খেয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হারতে হয়েছে রোহিত শর্মাদের। সাধারণ ভাবে ব্যাটিং ব্যর্থতা এবং খারাপ ফিল্ডিং প্রধান দুই কারণ। রবিবারের ম্যাচের ময়নাতদন্ত থেকে উঠে এসেছে সাতটি ঘটনা যা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।

Advertisement

এক, টস জিতে আগে ব্যাটিং। রোহিত শর্মার সিদ্ধান্ত ভারতের বিপক্ষে গিয়েছে। প্রতিযোগিতায় পার্‌থে রবিবার প্রথম খেলতে নামে ভারত। বিশ্বের গতিময় উইকেটগুলির অন্যতম পার্‌থ। ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তরতাজা উইকেটের বাউন্স সাহায্য করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার জোরে বোলারদের। রোহিতের আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত না কি খানিকটা অবাক করে ভারতীয় সাজঘরকেও।

দুই, লুনগি এনগিডির শুরুর স্পেল। ভারতীয় ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল করতে এসেই কাঁপুনি ধরিয়ে দেন গতি এবং সুইং দিয়ে। প্রথম চার ওভারে রোহিত এবং লোকেশ রাহুল তোলেন ২১ রান। দু’জনেই উইকেটে থিতু হয়ে গিয়েছিলেন। তবু এনগিডি তাঁদের দু’জনকেই দ্রুত আউট করে দেন। পরে বিরাট কোহলির উইকেটও নেন তিনি। কম সময়ের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত।

Advertisement

তিন, পঞ্চম থেকে নবম ওভারের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারায় ভারত। অনরিখ নখিয়া আউট করেন দীপক হুডাকে। তার পর হার্দিক পাণ্ড্যকেও সাজঘরে ফিরিয়ে দেন এনগিডি। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের দাপটে ভারতীয় ইনিংস ভেঙে পড়ে। স্বীকৃত ব্যাটারদের পাঁচ জনই ফিরে যান। ইনিংসের দ্বিতীয় ভাগে এই ক্ষতি সামাল দিতে পারেননি অন্য ব্যাটাররা।

চার, দীনেশ কার্তিকর ব্যর্থতা। কার্তিক রান না পাওয়ায় ২২ গজে একা হয়ে যান সূর্যকুমার যাদব। তিনি আগ্রাসী মেজাজে ৬৮ রানের ইনিংস খেললেও উইকেটের অন্য প্রান্ত থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাননি। তাতে সমস্যা হয় খুচরো রান নেওয়ার ক্ষেত্রে। সূর্যকুমার নিজে বেশি বল খেলার চেষ্টা করতে গিয়ে কয়েক বার এক রানকে দুই বা দুই রানকে তিনে পরিণত করার ঝুঁকি নিতে পারেননি। ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৩৩ রানে।

পাঁচ, বল হাতে শুরুটা ভাল করেন ভারতের জোরে বোলাররাও। আরশদীপ সিংহ এবং মহম্মদ শামি ২৪ রানে টেম্বা বাভুমাদের ৩ উইকেট তুলে নেন। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে পাল্টা লড়াই করেন দক্ষিণ আফ্রিকার মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। চতুর্থ উইকেটে এডেন মার্করাম এবং ডেভিড মিলারের ৭৬ রানের জুটি ভারতের জয়ের আশা শেষ করে দেয়। তাঁদের জুটি দ্রুত ভাঙতে পারেননি ভারতের বোলাররা।

ছয়, কোহলির ক্যাচ ফেলা, রোহিতের রান আউটের সুযোগ নষ্ট। মিলার-মার্করামের জুটি ভাঙার সুযোগ ভারত পেয়েছে একাধিক বার। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। ১২তম ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে মার্করামের দেওয়া সহজ ক্যাচ অবিশ্বাস্য ভাবে ফেলে দেন কোহলি। অথচ ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা ফিল্ডার কোহলি। পরের ১৩তম ওভারেই মার্করামকে রান আউট করার সহজ সুযোগ হারান অধিনায়ক রোহিত। কাছ থেকেও বল ছুড়েও উইকেট ভাঙতে পারেননি। মার্করাম সে সময় ক্রিজ থেকে চার-পাঁচ ফুট দূরে ছিলেন। দু’বার জীবন পেয়ে আরও আগ্রাসী ওঠেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার।

সাত, ডেভিড মিলারের ইনিংস। মার্করাম ৫২ রান করে আউট হলেও ততক্ষণে ভারতের হাত থেকে ম্যাচ প্রায় বেরিয়ে গিয়েছে। বাকি কাজটুকু সারতে মিলারের সমস্যা হয়নি। মার্করাম আউট হওয়ার পর আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে শুরু করেন মিলার। জয়ের লক্ষ্য কম হওয়ায় দু’জনে এক সঙ্গে আগ্রাসী ব্যাটিং করার ঝুঁকি নেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার এই পরিকল্পনাও কাজে এসেছে রবিবারের ম্যাচে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement